• 'হুড়কো ভেঙে ঢুকে যাচ্ছে, আবার দরজা খুলবে' অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের
    Aajtak | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • আজ পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে তাঁকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'আমার গড় থেকে চলে এসেছেন। এবার গড়ে গড়ে ঘুরছেন। ওনার নিজের গড় কোথায়? মুখ্যমন্ত্রীর কষ্ট আমরা বুঝি। আর কোনও নেতা নেই যাকে মানুষ বিশ্বাস করবে। ওনার চেহারাটা এখনও একটু পরিষ্কা আছে। সেটা দেখিয়ে ভোট টানার চেষ্টা করছেন।'

    বুধবার রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার বাড়িতে গিয়ে অজিত পাঁজাকে শ্রদ্ধা জানান উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এটাই বাংলার সৌজন্যের রাজনীতির পরিচয়। যদিও অনেকেরই দাবি, রাজনীতিতে কুকথার রাজনীতিতে শীর্ষে রয়েছেন দিলীপ। জবাবে আজ দিলীপ বলেন, 'আমি টিএমসি-র ডায়াসে গিয়ে ভাষণ দিতে পারি। কোনও বেটার দম আছে অন্য পার্টির ডায়াসে গিয়ে ভাষণ দিতে পারবে। ডাকলে তো তাদের বদনাম হয়ে যাবে। দিলীপ ঘোষকে ডাকে কারণ দিলীপ ঘোষ সর্বজন গ্রাহ্য। যারা বলছে তারা তো মেনি বিড়াল। কে পাত্তা দেয় ওদের? সব কটা চোর। আমি আজকেও বলছি কত কু কথা শুনবি আমার মুখ থেকে। সব চোর, চোরচোট্টা একদম। তোকে ডাকবে কী করে? বদনাম হয়ে যাবে। যার গায়ে ঘষে দিবি তার গায়ে মল লেগে যাবে। দিলীপ ঘোষের দম আছে চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে বলে। যে কোনও লোকের বাড়ি যেতে পারে, যে কোন লোকের সঙ্গে গল্প করতে পারে। সব নেতারা দিলীপ ঘোষকে বিশ্বাস করে, তাই আমাকে ডাকে।'

    এদিকে, কালীঘাটের কাকু সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর পরীক্ষার নমুনা রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছে ইডি। তদন্ত করতে গিয়ে মোবাইল থেকে যে কণ্ঠস্বর পাওয়া গিয়েছিল, তার সঙ্গে 'কাকু'র কণ্ঠস্বর মিলেছে বলেই বুধবার আদালতকে জাানান ইডির আইনজীবী। এনিয়ে দিলীপ বলেন, 'আমরা বারবার বলেছি দুর্নীতি হয়েছে। সেটা বিধিবদ্ধ ভাবে প্রমাণিত না হলে কোর্ট কিছু করতে পারে না। কোর্ট চাপ দিয়েছে। মানুষ তাকিয়ে আছে। আমরা বলেছি। তারই পরিণামে আজ ২৬ হাজার চাকরি গিয়েছে। এদের অনেকেই পরীক্ষা না দিয়ে বা পাস না করেই চাকরি করছিল। একটা জটিল সমস্যা। এর সমাধান আদালতকে করতে হবে। দুর্নীতির পাহাড় হয়ে গিয়েছে। সমাধান করতে সময় লাগবে। কিন্তু ঠিক রাস্তায় ব্যাপারটা এগোচ্ছে। 

    মুর্শিদাবাদে কি ভোট পিছিয়ে যাবে?

    এই প্রশ্নে দিলীপ বলেন, 'ওই জেলায় কোনও আইনশৃঙ্খলা আছে? সিএএ নিয়ে যখন ঝামেলা হয় তখন ওখানে স্টেশন পুড়ে গিয়েছিল। নুপুর শর্মার বক্তব্যের পর মন্দির ও বিজেপি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওখানে আইনের শাসন নেই। শুধু গিয়ে তৃণমূল ভোট চায়। সময় আসছে। সব পাল্টাবে। রাষ্ট্র বিরোধী কাজ করে কেউ ছাড় পাবে না। কমিশন দেখছে সবটা। প্রশাসন এখন তাদের হাতে। সব কিছু করার অধিকার এখন তাদের হাতে আছে। যারা গোলমাল পাকাচ্ছে তাদের তুলে নেওয়া হোক। ভিডিও আছে তো। দেখা যাচ্ছে তো ওদের।' 

    মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে বুধবার রোড-শো ছিল অভিষেকের। সেই রোড-শো শেষে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'ঠিক সময় দরজা খুলব। বিজেপি তুলে দেব।' পাল্টা দিলীপ বলেন, 'বাড়ি থাকলে তো দরজা খুলবি? বাড়ি ঘর দরজা সব খুলে খুলে যাচ্ছে। কবে আর খুলবে তুমি? হুড়কো ভেঙে ঢুকে যাচ্ছে। আবার দরজা খুলবে।'
  • Link to this news (Aajtak)