• ভারতের সবথেকে হালকা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি DRDO-র! বাঁচাবে সর্বোচ্চ বিপদ থেকেও
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • ভারতের সবথেকে হালকা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি করল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের মাধ্যমে সবথেকে বড় বিপদ রুখে দেওয়া যাবে (হায়েস্ট থ্রেট লেভেল ৬)।প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, একটি নয়া ডিজাইনের ভিত্তিতে সেই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে অভিনব উপাদান এবং নয়া পদ্ধতি। 

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘৭.৬২ x ৫৪ আর এপিআইয়ের (বিআইএস ১৭০৫১-র ষষ্ঠ পর্যায়) গোলাগুলি থেকে রক্ষা করতে দেশের সবথেকে হালকা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি করেছে ডিআরডিওয়ের ডিফেন্স মেটারিয়ালস অ্যান্ড স্টোরস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টাল এসটাবলিশমেন্ট। যা কানপুরে অবস্থিত। সম্প্রতি বিআইএস ১৭০৫১-২০১৮ মেনে চণ্ডীগড়ের টিবিআরএলে (ডিআরডিওয়ের টার্মিনাল ব্যালিস্টিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি) সাফল্যের সঙ্গে সেই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের পরীক্ষা করা হয়েছে।’

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ওই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের সামনের দিকে যে 'হার্ড আর্মার প্যানেল' আছে, তা ৭.৬২ x ৫৪ আর এপিআইয়ের (স্নাইপার রাউন্ড) একাধিক গুলি (ছ'টি শট) রুখে দিতে পারে। আর 'আইসিডব্লুউ' এবং স্বতন্ত্র - উভয়ক্ষেত্রেই সেই কাজটা করতে সক্ষম হবে ভারতের সবথেকে হালকা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের 'হার্ড আর্মার প্যানেল'। যে জ্যাকেট তৈরির জন্য ডিফেন্স মেটারিয়ালস অ্যান্ড স্টোরস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টাল এসটাবলিশমেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট দফতরের সচিব এবং ডিআরডিওয়ের চেয়ারম্যান।

    আর এমন সময় সেই বিষয়টি ঘোষণা করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, যখন একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের মধ্যে সামরিক ক্ষেত্রে যে দেশগুলি সবথেকে বেশি টাকা খরচ করেছে, সেই তালিকার চার নম্বরে আছে ভারত। এগিয়ে আছে শুধুমাত্র আমেরিকা, চিন এবং রাশিয়া। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সামরিক ক্ষেত্রে ভারত ৮৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে। যা গত বছরের থেকে ৪.২ শতাংশ বেশি। 

    ২০২০ সালের মে থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তারপর নিজের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং সামরিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করার উপরে জোর দিয়েছে ভারত। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালেও বিশ্বে চতুর্থ স্থানে ছিল ভারত। সেই বছর ৮১.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল ভারত। যা ২০২১ সালের থেকে ছয় শতাংশ বেশি ছিল। আর ২০১৩ সালের থেকে ৪৭ শতাংশ বেশি ছিল বলে জানানো হয়েছিল।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)