Calcutta High Court : ‘জনপ্রতিনিধিদের পদে থাকার যোগ্যতাই নেই’, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
এই সময় | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর বেআইনি নির্মাণ নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একাধিক বিধিনিষেধ চালু করা হয়েছে। তবে, বিধিনিষেধ থাকলে হবে না, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে, সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের। এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির। সরকারি অফিসারদের শাস্তির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে জানাল হাইকোর্ট।কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে শুধু সরকারি বিধি নিষেধ তৈরি করে কিছু হবে না। আগে রাজনৈতিক সদিচ্ছা আছে কি না সেটা দেখুন, রাজ্যের কৌশলীকে বলেন প্রধান বিচারপতি। বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় প্রধান বিচারপতি জানান, যে সব এলাকায় দিনের পর দিন বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে সেখানকার জনপ্রতিনিধি তার কিছুই জানেন না, এটা হতে পারে না। এমন প্রতিনিধিদের পদে থাকার কোনও অধিকার নেই। শুধু সরকারি অফিসারদের দোষ দিয়ে বা তাঁদের শাস্তি দিয়ে এই সমস্যার কোনও সমাধান নেই। রাজনীতিকদের আগে সৎভাবে এই বেআইনি বন্ধ করার ইচ্ছে দেখাতে হবে।
প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলাতে গত ৮ এপ্রিল রিপোর্ট জমা দিয়েছিল রাজ্য ও কলকাতা পুরসভা। সেই রিপোর্টে জানানো হয়, গার্ডেনরিচের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক জন পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
সেদিনকেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, পুরসভার যে আধিকারিকেরা এত দিন চুপ করে ছিলেন, তাঁরাও এই চক্রান্তে যুক্ত। তাঁরাই আসল দোষী। এটাও তদন্ত করে দেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অর্থাৎ পুর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ব্যাপারে জানিয়েছিল হাইকোর্ট। মামলাটি এরপর প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যায়। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়, শুধুমাত্র পুর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
উল্লেখ্য, গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পরেই শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বেআইনি নির্মাণ রুখতে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার তরফে অ্যাপ চালু করা হয়েছে। বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারেরা নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন। এলাকা পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট নির্মাণের ছবি আপলোড করছেন সেই অ্যাপে। এমনকি, বেআইনি নির্মাণ রুখতে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও নজর দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।