৮০০ জনকে ২ মাসের মধ্যে প্রাথমিকে নিয়োগ, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
এই সময় | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রাথমিক ২০০৯-এ উত্তর ২৪ পরগনার পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। বৃহস্পতিবার তিনি দুই মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। চাকরি পেতে চলেছেন ৮০০ পরীক্ষার্থী, যাঁরা গতকাল পর্যন্তও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। ২০০৯-এ প্রাথমিকের নিয়োগে উত্তর ২৪ পরগনায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, তা স্বীকার করল উত্তর ২৪ পরগনা প্রাইমারি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল। এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'কী চান? তদন্ত হোক? না বোর্ড চাকরি দেবে?' কাউন্সিল এদিন বলে, ‘আমরা চাকরি দিতে প্রস্তুত।’উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তির উপর ভিত্তি করে পরের বছর জেলাভিত্তিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়। তখন অবশ্য TET পরীক্ষা ছিল না। শুধু তাই নয়, সেই সময় প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতার জন্য প্রশিক্ষণও আবশ্যক ছিল না। এদিকে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এরপর চালু হয় TET পরীক্ষা। অভিযোগ ওঠে, ২০০৯ সালের পরীক্ষা রাজ্য সরকার বাতিল করে দেয়। ২০১৪ সালে লিখত পরীক্ষা হয়। হয় ইন্টারভিউও। এই প্রসঙ্গে মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তার প্রেক্ষিতে নিয়োগ বাতিল করা সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের কথায়, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। স্বাভাবিকভাবেই এই নির্দেশের ফলে আমরা অনেকটা স্বস্তি। বছরের পর বছর কেটে গিয়েছে। আমরা নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছি। এই নির্দেশে স্বাভাবিক ভাবে স্বস্তি পাচ্ছি।' প্রসঙ্গত, গত সোমবার SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এই নির্দেশের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। SLP ফাইল করা হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। এখন সেই স্পেশাল লিভ পিটিশনের প্রেক্ষিতে ঠিক কী নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত সেই দিকে সব নজর। এদিকে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছেন চাকরিহারারা। তাঁদের কথায়, 'কিছু অযোগ্যর জন্য হাজার হাজার যোগ্য প্রার্থী কেন চাকরি হারাবেন!'
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি এই চাকরিহারাদের পাশে রয়েছেন। পাশাপাশি আইনি লড়াই করার কথাও শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। বিরোধীরা লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রায়কে সামনে রেখে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।