গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিল। আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে। এই আবহে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।এদিন SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার দাবি করেন, তাঁরা তিনটি হলফনামা দিয়ে আদালতে জানিয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ৩০০ জনের মতো অযোগ্য-র কথা। তবে বাকিরা যে যোগ্য, তা জোর দিয়ে বলেননি তিনি। তাঁর কথায়, 'আপাতত যে তথ্য আছে হাতে সেই মোতাবেক ওরা যোগ্য। তবে আগামীতে যে তথ্য উঠে আসবে সেই মোতাবেক বলব। এর বাইরে আমাদের পক্ষে বাকি প্রায় ১৯ হাজারকে এভাবে সার্টিফায়েড করা সম্ভব নয়।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের তরফে কোনও তথ্য যায়নি, এই দাবি ভুল। আর সেই কারণেই আমরা এই তথ্য তুলে ধরলাম।' সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, 'অযোগ্যদের তালিকা হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছিল আদালতে। ১৩ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দিয়েছিলাম। তাতে আদালত সন্তুষ্ট না হওয়ায় এরপর ১৮ ডিসেম্বর একটি হলফনামা দিই। সেখানে নবম দশমে ৭৭৫ জন যাঁদের সুপারিশপত্র 'রুল ১৭' প্রয়োগ করে প্রত্যাহার করেছি তাদের তালিকা দেওয়া হয়। হলফনামা নিয়ে আলোচনার সময় হাইকোর্টে আমি হাজির ছিলাম। ২০ ডিসেম্বর আমরা আরও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিই। যেখানে ৭৭৫ জনের পাশাপাশি ৩৩ জন যাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়নি তাঁদের OMR ইস্যু ছিল তাঁদের নাম রোল নম্বর উল্লেখ করা হয়।'
তাঁর সংযোজন, 'একাদশ-দ্বাদশের ক্ষেত্রে OMR ইস্যু ছিল এবং যাঁরা সুপারিশপত্র পেয়েছেন তাঁদের সংখ্যাটা ছিল ৭৭১। Rank Jumping এর সমস্যা একাদশ দ্বাদশের ক্ষেত্রে ৩৯। তাঁদের নাম এবং রোল নম্বর সহ জমা দেওয়া হয়। ওই একই দিকে আমরা জানাই গ্রুপ সি OMR ইস্যু ছিল ৭৮৩, যাঁরা সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন তাঁদের বিবরণ দিই।'
উল্লেখ্য, সোমবার ২০১৬ সালের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোটাই বাতিল করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরেই অভিযোগ উঠছিল, এসএসসি পর্যাপ্ত তথ্য আদালতে দেয়নি। বৃহস্পতিবার তা খারিজ করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান। তিনটি হলফনামাতে প্রায় ৫ হাজার ৩০০ জন যাঁদের র্যাঙ্ক জাম্প এবং OMR-এ অসংগতি রয়েছে তাঁদের নাম দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি। যদিও বাকিরা 'যোগ্য', তা জোর দিয়ে বলতে শোনা যায়নি তাঁকে।