যাঁরা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের পাশে আছি : লকেট
এই সময় | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
ঘুষ দিয়ে যাঁরা চাকির পেয়ে এখন আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করলেন লকেট। একইসঙ্গে মানুষকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আবেদনও জানান হুগলির বিজেপি প্রার্থী।কী বললেন লকেট?লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'খারাপ লাগে বেআইনিভাবে যে সকল নেতা মন্ত্রী টাকা নিয়েছিলেন, তাঁরা ভাবেননি যে আমরা বেআইনিভাবে এই ছেলেমেয়েগুলোর ভবিষ্যৎ নষ্ট করছি। মুখ্যমন্ত্রী দিনের পর দিন দেখেছেন, বারাবার এসএসসি নিয়ে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, এটা ঠিক নয়, এখানে প্রচুর জল মেশান আছে, এখানে অনেক চাকরি চুরি হয়েছে, তিনি বারবার আদালতে গিয়েছেন। চূড়ান্ত রায়ে সবচেয়ে কাদের ক্ষতি হল? যাঁরা ঘুষ দিয়ে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের চাকরি গেল। আমরা তাঁদের পাশে আছি। আমরা চাইব যাঁরা যাঁরা নেতা মন্ত্রীরা চাকরির জন্য টাকা নিয়েছিলেন, তাঁদের বাড়ি গিয়ে হানা দিন। তাঁদের বাড়ি গিয়ে বলুন, চাকরি যখন চলে গিয়েছ, আমাদের টাকা ফেরত দাও, আমরা সেই টাকা আদালতে দেব। আমার আছি তাঁদের সঙ্গে।'
এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনায় মন্ত্রীসভার সকলের পদত্যাগ করা উচিত বলেও দাবি মন্তব্য করেন লকেট। বিজেপির প্রার্থী বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত। কিন্তু তিনি একের পর এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিথ্যা ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। এখন বলছেন, আমি তো পুরোটা দেখি না, অন্য কেউ করেছে, তার মানে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন।'
এসএসসি রায়ে চাকরি গেল এক স্কুলের ৩৬ শিক্ষকের
চাকরিহারাদের পাশে মমতাওতবে লকেট অভিযোগ করলেও, চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরিহারাদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন, 'চিন্তা করবেন না, আমরা সাধ্যমত সমস্ত কিছু চেষ্টা করব।' এমনকী এই রায়কে 'বেআইনি' বলেও কটাক্ষ করেছেন মমতা। আর এই গোটা বিষয়ের জন্য দায়ী করেছেন বিজেপিতে। লাগাতার এই ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করে গিয়েছেন তিনি। গলসির একটি সভা থেকে মমতা বলেন, 'এরা (বিজেপি) কোর্ট কিনে নিয়েছে, আমি সুপ্রিম কোর্টের কথা বলছি না, সিবিআই-কে কিনে নিয়েছে, বিএসএফ-কে কিনে নিয়েছে।' প্রসঙ্গত গত সোমবারই এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটিই বাতিল করে দিয়েছে আদালত। আর তারপরেই তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে।