• প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন শতাব্দী
    এই সময় | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়, দুবরাজপুর: প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন শতাব্দী রায়। ‘সাংসদ হিসাবে যদি কাজ করে থাকেন, তবে দলকে কেন প্রচার করতে দেখা যায় না?’ ভোটের প্রচারে গিয়ে এমনই প্রশ্নের মুখোমুখি হন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। আর প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারাতে দেখা যায় তাঁকে। ‘ইডিয়ট-ইডিয়ট’ বলে প্রশ্নকর্তার উদ্দেশে চিৎকার করে ওঠেন বীরভূমের তিন বারের সাংসদ।বীরভূম জুড়ে প্রচার শুরু করেছেন ডান-বাম সব প্রার্থীই। ব্রিগেডে প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা হতেই জেলায় প্রচার শুরু করেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। প্রচারের নিরিখে এখনও পর্যন্ত বেশ খানিকটা এগিয়ে শতাব্দী। এক দিনে তিনটি করে পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার করছেন তিনি। বুধবার দুবরাজপুর এলাকায় প্রচার করতে যান তিনি।

    সেখানকার বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মঙ্গলপুর গ্রামে খগেশ্বরনাথ শিবমন্দিরে পুজো দেন। এর পরে মন্দির চত্বরেই এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। সুনীল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি এ দিন সাংসদকে কাছে পেয়ে বলে ওঠেন, সাংসদ হিসাবে যদি কাজ করে থাকেন, তবে তাঁর দলকে কেন সেই সব কাজের কথা বলে প্রচার করতে দেখা যায় না?

    আচমকা সাধারণ ভোটারের এই অস্বস্তিকর প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারান শতাব্দী। ওই ভোটারের দিকে আঙুল উঁচিয়ে শতাব্দী বলে ওঠেন, ‘ইডিয়ট! ইডিয়ট! ইডিয়টের মতো কথা বলছ!’ তৃণমূল প্রার্থীর মুখে এমন কথা শুনে সুনীল বলেন, ‘আর কিছু বলার নেই। কারণ সত্যি কথা বললে যদি এমন রেগে যান, তাহলে তো মুস্কিল। উনি এটা শুনেই রেগে গেলেন। আসল কথাটা শুনলেনই না। আমি গ্রামের মন্দিরের জন্য কিছু বলতে চাইছিলাম।’

    এই ঘটনার পরে গাড়িতে উঠে শতাব্দীকে অন্য মেজাজে দেখা যায়। মুহূর্তেই নিজেকে সংযত করে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘উনি বলছেন, জলের ট্যাঙ্কের জন্য যে টাকা দিয়েছিলেন, তা রাতের অন্ধকারেই নিয়ে গিয়েছে আবার। এটা তো হতে পারে না। কারণ টাকা তো ব্যাঙ্ক মারফত ট্রান্সফার হয়। আমি ওঁর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে নেব।’
  • Link to this news (এই সময়)