• Gaighata News: রক্তমাখা রুমাল, কালো গামছা-গ্লাভস, দাদাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ শিক্ষক ভাইয়ের বিরুদ্ধে
    ২৪ ঘন্টা | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • মনোজ মণ্ডল: নম্বর প্লেট ঢাকা বাইক আটক করতেই উদ্ধার রহস্য। রাতে রাস্তার পাশে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ পরে থাকতে দেখে পুলিসকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁর শিক্ষক ভাইকেই গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছ গাইঘাটার জামদানি এলাকায়। জামদানি- মধুসূদন কাটি রোডের পাশে। খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিস ওই এলাকায় পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠিয়েছে। মৃতর নাম মিজানুর রহমান (৪৬), বসিরহাটের দক্ষিণ চাতরার বাসিন্দা। ধৃত মুসিয়ার রহমান মৃত মিজানুরের ভাই। বনগাঁর একটি হাইস্কুলের ইংরেজি শিক্ষক। 

    পুলিস ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাতে নির্জন ওই জায়গায় ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখে বাসিন্দারা। মৃতদেহের মুখ, হাত, গলা-সহ একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষত রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গোবরডাঙ্গা ও গাইঘাটা থানার পুলিস। দেহটি উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি ওই রাতেই গোবরডাঙা থানায় এলাকায় সন্দেহভজনভাবে গাড়ির নাম্বার প্লেট ঢেকে যাচ্ছিল। গোবরডাঙা থানার এক পুলিসের সন্দেহ হয়। পুলিস তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার কথায় অসংগতি থাকায় থানায় আনতেই রহস্য উদ্ধার। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তার শরীরে রক্তের দাগ দেখা যায়। তার কাছে একটি ব্যাগও ছিল। ব্যাগের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় দুটি গ্লাভস, একটি স্যানিটাইজার, সাতটা রুমাল তার মধ্যে একটি রুমাল রক্তমাখা ছিল। একসেট নতুন জামা প্যান্ট, কালো তিনটি গামছা। তার কাছ থেকে মৃত দাদার রক্তমাখা ফোন উদ্ধার হয়। এরপরই দাদাকে খুনের অভিযোগে পুলিস তাকে গ্রেফতার করে।যদিও অভিযুক্ত এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি করেছে। তিনামতলার এক ব্যক্তি দাদাকে খুন করেছে বলে জানিয়েছে। সে আরও জানায় দাদাকে সে বাঁচাতে গিয়েছিল। গোবরডাঙ্গার পুলিস তাকে গ্রেফতার করে এদিন রাতেই গাইঘাটা থানার পুলিসের হাতে তুলে দেয়। কী কারনে খুন, কারা কারা জড়িত রয়েছে এই খুনের সঙ্গে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরে এই খুন।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)