বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। সেখানেই তিনি জানান, আদালতের রায়ের (SSC Recruitment Verdict) পর তাঁকে একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম যে, কেন এসএসসি যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা দিল না? সিদ্ধার্থ মজুমদারের দাবি, হলফনামা আকারে সমস্ত তথ্য জমা দেওয়া হয়েছিল আদালতে। অর্থাৎ যোগ্য-অযোগ্যদের যে তালিকার কথা বলা হচ্ছে, হলফনামা আকারে তা পেশ করা হয়েছিল।
এদিন এসএসসির চেয়ারম্যান রীতিমতো তারিখ উল্লেখ করে জানান, ১৩ ডিসেম্বর প্রথম হলফনামা দেওয়া হয়। সেখানে থাকা একটি পয়েন্টে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। আবারও হলফনামা দিতে বলা হয়। পরবর্তীতে ১৮ ডিসেম্বর আরও একটি হলফনামা দেন তিনি। তাতে নবম-দশমে ৭৭৫ জনের সুপারশিপত্র রুল ১৭ প্রয়োগ করে প্রত্যাহার বা বাতিল করা হয়েছিল, সেই তালিকাও নাকি দেওয়া হয়। খোদ এসএসসি চেয়ারম্যান হাই কোর্টে উপস্থিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে একটি স্ট্যাটেসটিক্যাল রিপোর্ট দেওয়া হয়।
সিদ্ধার্থবাবু জানান, ওই রিপোর্টে ৭৭৫ জনের নাম তো ছিলই। আরও ৩৩ জন, যাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়নি। OMR নিয়ে সমস্যা ছিল, তাঁদের নাম রোল নম্বর জমা করা হয়। নবম-দশমের আরও ১৮৩ জনের নাম দেওয়া হয়, যাদের কিছু সমস্যা ছিল। এদিকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির যে ৭৭১ জনের বিভিন্নরকম ইস্যু ছিল, তাঁদের নামও জমা দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ এসএসসির দাবি, এসএসসি যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা দিয়েছিল। কিন্তু আদালত তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। যার পরিণতিতে এই চাকরি বাতিল।