ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুকুটে এবারনয়া পালক। আরও অনেকটা শক্তিশালী হল দেশের সেনা। ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা DRDO তৈরি করল দেশের সবথেকে হালকা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। ২৩ এপ্রিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।পলিমার ব্যাকিং এবং মনোলিথিক সিরামিক প্লেট দিয়ে তৈরি এই জ্যাকেটটি ছয়টি স্নাইপার বুলেটও ভেদ করতে পারেনিয মন্ত্রক জানিয়েছে, জ্যাকেটের ইন-কানেকশন এবং স্ট্যান্ডঅ্যালোন ডিজাইন সৈন্যদের ৭.৬২X৫৪ আরএপিআই গোলাবারুদের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে।
কানপুরে অবস্থিত ডিআরডিও-র ডিফেন্স ম্যাটেরিয়াল অ্যান্ড স্টোরস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট এই জ্যাকেটটি তৈরি করেছে। চণ্ডীগড়ের টিবিআরএল-এ এই জ্যাকেটটি পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা দফতরের গবেষণা ও উন্নয়ন সচিব এবং ডিআরডিওর চেয়ারম্যান হালকা ওজনের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরির জন্য ডিএমএসআরডিই-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ভারতের সেনপ্রদান জেনরেল মনোজ পান্ডে বলেছেন, দেশ যুদ্ধে যেতে দ্বিধা করবে না। জাতির সুরক্ষা আউটসোর্স করা যায় না বা অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে পারে না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে এর্গোনমিক্যালি ডিজাইন করা ফ্রন্ট হার্ড আর্মার প্যানেল পলিমার ব্যাকিং এবং মনোলিথিক সিরামিক প্লেট দিয়ে তৈরি। অপারেশন চলাকালীন সেনাদের গয়ে থাকা এই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটট আগের চেয়ে আরও আরামদায়ক এবং নিরাপদ হবে।
মন্ত্রক জানিয়েছে যে আইসিডব্লিউ হার্ড আর্মার প্যানেল এর বায়বীয় ঘনত্ব ৪০ কেজি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নবম ন্যাশনাল লিডারশিপ কনক্লেভে পৌছান ভারতের সেনাপ্রধান ডেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাবলি দেখিয়েছে যে দেশগুলি জাতীয় স্বার্থের বিষয়ে যুদ্ধে যেতে দ্বিধা করবে ন। যুদ্ধ প্রতিরোধ ও প্রতিরোধের পাশাপাশি আক্রমণের তীব্র জবাব দেওয়া এবং প্রয়োজনে যুদ্ধ জয়ের জন্য সামরিক শক্তি অপরিহার্য।
হার্ড, বডি, আর্মার তিনটি প্রধান অংশ আছে। একটি সিরামিক, দ্বিতীয়টি যৌগিক স্তর এবং তৃতীয়টি পিছনের প্লেট।
জ্যাকেটে উপস্থিত হার্ড লেয়ারটির কাজ হল বুলেটের গতি কমানো। যখন একটি বুলেট এই স্তরে আঘাত করে তখন এটি শক ভেঙে দেয় এবং নিজের মধ্যে তার শক্তি ছড়িয়ে দেয়।
দ্বিতীয় হল ডিলামিনেশন। অর্থাৎ এটির একটির উপর অনেকগুলি স্তর রয়েছে। যেমন পাতলা পাতলা কাঠের অনেকগুলো স্তর আছে। এই স্তরগুলি ছড়িয়ে পড়ে এবং গুলি লাগার শক থেকে বাঁচায়। একে প্রযুক্তিগত ভাষায় ডিলামিনেশন বলে।