'আমার বিয়ে সংক্রান্ত হলে...', 'মহিলাদের রিয়্যাক্ট' নিয়ে মুখ খুললেন কাঞ্চন
এই সময় | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রচার গাড়ি থেকে উত্তরপাড়ার দলীয় বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে নামিয়ে দিয়েছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কারণ হিসেবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কাঞ্চন মল্লিককে গ্রামাঞ্চলে প্রচারে নিয়ে গেলে 'রিয়্যাক্ট' করছে মহিলারা। এবার সেই বিষয়ে এই সময় ডিজিটালে মুখ খুললেন অভিনেতা তথা উত্তরপাড়ার বিধায়ক তথা কাঞ্চন মল্লিক।ঠিক কী হয়েছিল?কাঞ্চন বলেন, 'আমি দলের প্রচারে গিয়েছি, কল্যাণদা আমার প্রার্থী, লোকসভা নির্বাচন, তাই প্রচার থাকবেই। এমনটা নয় যে প্রথমবার গেলাম, এর আগেও গিয়েছি। আজ যখন গেলাম, তিনি বললেন, তুমি আজকে যেও না, গ্রামের মধ্যে ঢুকলে লোকেরা রিয়্যাক্ট করছে, সরি আমাকে তো ভোটটা করতে হবে। আমি নেমে চলে এসেছি। আমি আমার দলীয় কর্মসূচি অনুযায়ী প্রচারে গিয়েছি, এবার তাঁর যদি মনে হয় আমি গেলে কোথাও রিয়্যাক্ট হবে, তাহলে আমি যাব না।'
'রিয়্যাক্ট'-এর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় কাঞ্চনএবার প্রশ্ন হচ্ছে, কেন 'রিয়্যাক্ট' করছেন মহিলারা? সেই বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কাঞ্চন নিজেও ধোঁয়াশায়। কাঞ্চনের দাবি, কেন মহিলারা 'রিয়্যাক্ট' তা তাঁর কাছেও অজানা। এই বিষয়ে কাঞ্চন বলেন, 'আমি সত্যিই জানি না কেন? কারণ আমি যে সব জায়গায় প্রচারে গিয়েছি, সেখানে তো মহিলারা বিক্ষোভ দেখায়নি। কারণটা কী, আমি এখনও বুঝতে পারছি না।' এরপরেই কাঞ্চন বলেন, 'কারণটা যদি আমার বিবাহ হয়, তাহলে সেটা তো অত্যন্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আমি তো আইনানুগভাবে বিয়ে করেছি, তার সঙ্গে রাজনীতির তো কোনও সম্পর্ক নেই। আমি তো বিয়ে করার জন্য বিধানসভার কারও কাছে সাহায্য নিইনি।'
জেলার রাজনীতিতে চাঞ্চল্যএই ঘটনার পরে কি আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে যাবেন? উত্তরে কাঞ্চন বলেন, 'আমি আগে অভিনেতা, পরে রাজনীতিতে এসেছি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার এখানের ৩ বারের সাংসদ। যদি আমি উত্তরপাড়ার না হয়ে অন্য কোনও জায়গার বিধায়ক হতাম বা সেখানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অন্য যে কেউ হতেন, আমার দল বললে আমি নিশ্চয় প্রচারে যাব। আমার সঙ্গে তো ব্যক্তিগত কোনও বাকবিতণ্ডা নেই।' সেক্ষেত্রে এটা কল্যাণের প্রচারের স্ট্র্যাটেজিও হতে পারে বলে মনে করছেন কাঞ্চন। তবে কারণ যাই হোক, ভোটের মুখে তৃণমূল প্রার্থীর দলীয় বিধায়ককে প্রচার গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জেলার রাজনীতিতে যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।