• ’‌অযোগ্যদের তালিকা আদালতকে দেওয়া হয়েছিল’‌, অভিযোগ খণ্ডন করলেন সিদ্ধার্থ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • কলকাতা হাইকোর্ট দু’‌দিন আগে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল পুরোটাই বাতিল করে দেয়। এই রায়ের ফলে রাজ্য–রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে এসএসসি। এই রায়ের জেরে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন চাকরিপ্রার্থী। আজ, বৃহস্পতিবার গোটা বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। এসএসসি’‌র বিরুদ্ধেই অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশন (‌এসএসসি)‌ নাকি যোগ্য–অযোগ্যদের তালিকা দেয়নি বলে অভিযোগ। আজ, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত অভিযোগ খণ্ডন করলেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। তাতে বেশ চাপে পড়ে গেল আদালত বলে মনে করা হচ্ছে।

    এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে এসএসসি। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছে রাজ্য সরকারও। সর্বোচ্চ আদালতে আলাদাভাবে মামলা করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আজ এসএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘‌পাঁচ হাজার জনের জন্য কেন ২৬ হাজার জন ভুগবেন?‌ কেন যোগ্য–অযোগ্যদের বিভাজন করা হল না?‌ যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছিল এসএসসি। গত ১৩ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দেওয়া হয়। তাতে আদালত সন্তুষ্ট না হওয়ায় আবার ১৮ তারিখ হলফনামা জমা দেওয়া হয়।’‌

    অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এসএসসি’‌র বিরুদ্ধে অসহযোগিতার যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল আজ, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তা খণ্ডন করেন এসএসসির চেয়ারম্যান। তাঁর বক্তব্য, ‘‌গ্রুপ–সি, গ্রুপ–ডির চাকরি আদালত বাতিল করেছিল। এক্ষেত্রে আমাদের রুল ১৭–এর মতো সমগোত্রীয় রুল নেই। তাই আমরা সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে পারেনি। সেটা জেনে আদালত ওঁদের চাকরি বাতিল করে। পরে আদালত আমাকে তলব করে। ২০ ডিসেম্বর আমরা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট স্ট্যাটেসটিক্যাল রিপোর্ট জমা দিই। অযোগ্যদের তালিকা বলতে যা বোঝানো হচ্ছে সেটা হলফনামা আকারে কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করেছিলাম।’‌

    এছাড়া যোগ্য–অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছিল এসএসসি বলে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘১৩ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দিয়েছিলাম। হলফনামায় আদালত সন্তুষ্ট হয়নি। ১৮ ডিসেম্বর আবার হলফনামা জমা দেওয়া হয়। ধরে নেওয়া যেতে পারে বাকি ১৯০০০ যোগ্য। কোনও ভুল বাকিদের ক্ষেত্রে নেই। এটা কেউ সার্টিফিকেট দিতে পারবে না। তবে আমরা বিভিন্ন নথির ভিত্তিতে যে তথ্য পেয়েছি সেটা আদালতকে দেওয়া হয়েছে। এমনকী আমাদের পক্ষ থেকে ৫৩০০ জনের নাম দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা ‘অযোগ্য’ বা বিতর্কিত। তার মধ্যে অযোগ্যদের সংখ্যা বেশি। আদালতকে সম্মান করেছি। কিন্তু যেটা বলা হচ্ছে, এসএসসি কোনও তথ্য দেয়নি সেটা ঠিক তথ্য নয়।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)