• ‘‌আগে দেবাংশুর সঙ্গে লড়ুন’‌, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মমতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • আজ, বৃহস্পতিবার নির্বাচনী সভা করতে মেদিনীপুর ও পরে তমলুকে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের হয়ে প্রচারে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানের মঞ্চ থেকেই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তুলোধনা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। চাকরি খেয়ে নেওয়া নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। ইদানিং মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ সেসবেরই জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শুভেন্দু–শিশির অধিকারী এবং বিজেপিকেও তুলোধনা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    এদিকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন বিচারপতি ছিলেন তখন চাকরি খেয়ে নেওয়ার নির্দেশ তিনিও দিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায় সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত হয়ে যায়। ঢাকি সমেত বিসর্জন, সুপ্রিম কোর্ট যুগ যুগ জিও—এসব তাঁর স্মরণীয় উক্তি। আর এবার গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌বিজেপি এখানে যাকে প্রার্থী করেছে তিনি তো নিজেকে মনে করেন ঈশ্বরের উপরে। বিচারকের নামে উনি হচ্ছেন, নাম আপনারা ঠিক করবেন। বিতাড়িত করে দিন। আমাকে পদত্যাগ করতে বলার আগে নিজে দেহত্যাগ করুন। আগে নিজের লজ্জা ঢাকুন। আপনি বিচারালয়ের কলঙ্ক।’‌

    অন্যদিকে এখানে থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। কথা দিয়ে কথা রাখেনি বিজেপি বলে জোর গলায় সোচ্চার হন। তবে কেন ওদের ভোট দেবেন? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলনেত্রী। তাই তাঁর বক্তব্য, ‘১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলেছিল, দেয়নি। বেকারদের চাকরি দেবে বলেছিল দেয়নি। উল্টে চাকরি খেয়েছে। এই গদ্দাররা গিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আবাসের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আগে দেবাংশুর বিরুদ্ধে লড়ুন। তারপর আমাকে গালাগালি করবেন। এখানে যিনি বিজেপি প্রার্থী তিনিই প্রথম সই করেছিলেন চাকরি যাওয়ার কাগজে। উনি বিচারকের আসনে বসে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। নিজেই বলেছেন। এঁকে আমি কী বলব, যিনি বিচারকের আসনে বসে বিজেপি করতেন। তাঁকে বিতাড়িত করে দিন।’‌

    এছাড়া চাকরি যাঁরা হারিয়েছেন তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজও। তখনই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‌আমি এর শেষ দেখতে চাই। আমরা এখানে অন্য প্রার্থী দিইনি ইচ্ছে করে। ছাত্র–যুবরা, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে দেবাংশু লড়বে এখানে। আগে দেবাংশুর সঙ্গে লড়ুন, তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি করবেন। বিচারপতি হয়ে সবচেয়ে বেশি চাকরি খেয়েছেন। প্রার্থী হয়ে উনি ভাবছেন, এটাও বিচারালয়। ছাত্র–যুবদের চাকরি খেয়েছেন। আপনাকে ছেড়ে দেব? দেবাংশুকে বলব, এই তমলুকে যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে সামনে এনে দুঃখের কথা বলো। ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি খেয়ে নিল। যেন মগের মুলুক। আমি বলি সাহস থাকা ভাল, দুঃসাহস থাকা ভাল নয়।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)