বুর্জ খালিফাকে টেক্কা দেবে থাইল্যান্ড, মাথা তোলার পথে বিশ্বের সর্বোচ্চ বহুতল
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং হলে বুর্জ খালিফা। কিন্তু এখন এর চেয়েও বড় বিল্ডং তৈরির পরিকল্পণা করা হচ্ছে। যার সামনে বুর্জ খালিফাকেও ছোট দেখাবে। এমনই পরিকল্পণা করছে থাইল্যান্ড।এই বিশাল আকার বিল্ডিংটি ব্যাংককে একই সংস্থা তৈরি করতে পারে যেটি দুবাইয়ে রেকর্ড ব্রেকিং টাওয়ারটি তৈরি করেছিল। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন শুক্রবার তার এক্স হ্যান্ডেলে চীনা এবং মধ্যপার্চ্যের কোম্পানিগুলির সঙ্গে বৈঠকের বিশদ ভাগ করে নেওয়ার সময় এই ঘোষণা করেছেন।
যদিও এই প্রকল্পের সঠিক উচ্চতা এবং খরচ নিয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য নেই। কিন্তু মেগাস্ট্রাকচার বুর্জ খালিফা থেকে বিশ্বেরসবচেয়ে উঁচু ভবনের খেতাব ছিনিয়ে নেবে বলে জানা গেছে। এই টাওয়ারের নাম কী হবে জানা যানি সেই সম্পর্কেও। তবে একটি টাওয়ারে হোটেল, অফিস, এবং একটি বিনোদন কেন্দ্র থাকবে। এই প্রকল্পে একটি বিনোদন কেন্দ্র, ক্যাসিনো, একটি বড় আর্থিক কেন্দ্র এবং ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থাকবে। বুর্জ খালিফা নির্মাণ করেছে ইমার গ্রুপ।
ইমার গ্রুপ এখন বুর্জ খালিফার চেয়েও বড় ভবন তৈরিকরে নিজেদের রেকর্ডই ভাঙতে পারে। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, একজন সরকারি মুখপাত্র চাই ওয়াচরোঙ্ক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের সামনে একটি চ্যালেঞ্জ রেখেছিলেন যে তারা এখানে একটি টাওয়ার তৈরি করতে পারেন যা দুবাইয়ের বুর্জ খালিফার চেয়েও লম্বা হবে। তিনি তাঁর ধারণা প্রত্যাখ্যান করেননি। সোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলব্বার বলেন, সুপার টাওয়ারের জন্য আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, প্রকল্পটি পাবলিক ট্রেড ফার্মের পরিবর্তে বিনিয়োগকারীদের একটি গ্রুপ দ্বারা তৈরি করা হবে।
বুর্জ খালিফার কথা বলতে গেলে প্রথমেই মনে আসে এর উচ্চতার কথা। বুর্জ খালিফার উচ্চতা ৮২ মিটার। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন। এটির দুটি পর্যবেক্ষণ ডেক রয়েছে। যা অ্যাট দ্য টপ নামে পরিচিত। ১২৪ তলা এবং ১৪৮ তলয় অবস্থিত। এখানে দাঁড়িয়ে পুরো দুবাইয়ের দৃশ্য দেখা যায়। বুর্জ খালিফার চেয়েও উঁচু ভবন নির্মাণের কথা এই প্রথমবার হয়নি। সৌদিও বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন নির্মাণের চেষ্টা করেছিল, পরে যেটির নির্মাণ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।
বুর্জ খালিফা নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০০৪ সালে এবং শেষ হয় ২০০৯ সালে। এটি দুবাইয়ের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এই বিল্ডিং রীতিমতো আধুনিকতা এবং বিস্ময়ের প্রতীক হয়ে রয়েছে। বানিজ্য, পর্যটন এবং বিলাসিতাকে কেন্দ্র করে চলে বুর্জ খালিফার অর্থনীতি।