• Birbhum 2 BJP Candidates: এক কেন্দ্রে ২ বিজেপি প্রার্থী! দেবাশিষের পর 'দলের নির্দেশেই' মনোনয়ন দাখিল দেবতনুরও...
    ২৪ ঘন্টা | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
  • প্রসেনজিৎ মালাকার: হাইভোল্টেডজ বীরভূম। নজরে বীরভূম। চতুর্থ দফায় ১৩ মে ভোট বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে। আর এবার সেই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির 'বড় চমক'! এক কেন্দ্রে বিজেপির ২ প্রার্থী! বীরভূম লোকসভা আসনে এবার দেবাশিষ ধর ছাড়াও আরও একজন প্রার্থী বিজেপির তরফে আজ মনোনয়ন দাখিল করলেন। প্রার্থীর নাম  দেবতনু ভট্টাচার্য। আজ সিউড়িতে বীরভূম জেলাশাসকের দফতরে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ার জন্য মনোনয়ন দাখিল করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এক আসনে বিজেপির ২ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিলের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। মনোনয়ন দাখিল করে যদিও দেবতনু ভট্টাচার্যের দাবি, দলের নির্দেশেই মনোনয়ন দাখিল করেছেন তিনি। দল তাঁকে মনোনয়ন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। আর সেই কারণেই তিনি মনোনয়ন দাখিল করেছেন।প্রসঙ্গত কেষ্ট গড় হিসেবে পরিচিত বীরভূম জেলার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিষ ধরের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে বিজেপি। আর বিজেপির এই ঘোষণার পরই বিতর্ক ছড়ায়। ২০২১-এ বিধানসভা ভোটের সময় শীতলকুচিতে গুলি চলার ঘটনা ও গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়ায় দেবাশিষ ধরের। সেই দেবাশিষ ধরকেই বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর বার বারই তাঁর উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব। এমনকি বীরভূম কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় দাবি করেন, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি রয়েছে দেবাশিষ ধরের। সিাআইডি-র আতস কাচের তলায় আছেন দেবাশিষ ধর।এখন দেবাশিষ ধরের জমা দেওয়া নির্বাচনী হলফনামা থেকেই জানা যাচ্ছে যে, শেষ অর্থবর্ষে দেবাশিষ ধরের সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় তিন গুণ। ৮ লক্ষ টাকা থেকে আয় বেড়ে হয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তথা বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ১০ লক্ষ ৩৮ হাজার ১১০ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ১১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩২৮ টাকা। পরবর্তী অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তিনি রোজগার করেছিলেন ১১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৯০ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তার রোজগারের পরিমাণ ছিল ৮ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৩১ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তাঁর সেই রোজগার-ই বেড়ে হয়েছে ২৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪১১ টাকা।দেবাশিস ধরের ৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এছাড়াও তিনি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। পাশাপাশি এনএসসি সহ বিভিন্ন বিমা প্রকল্পে বিনিয়োগ করে থাকেন। তার নামে ৭০ গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনার অলংকার রয়েছে। নগদ, সেভিংস, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, আর এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে তার কাছে থাকা মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হল ৮৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৩৮.৩৩ টাকা। আর স্থাবর সম্পত্তির দিকে যদি নজর রাখা হয় তাহলে দেখা যাবে, তাঁর নামে রয়েছে দুটি বাড়ি। ওই দুটি বাড়ির দাম হিসাবে দেবাশিস ধরের স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)