বয়স মাত্র ১৫। এরই মধ্যে আধুনিক, নিরাপদ ও দ্রুত নাগরিক পরিষেবায় নজির গড়েছে নিউ টাউন উন্নয়ন পর্ষদ, এনকেডিএ। সাইকেল চালানোর জন্য আলাদা লেন, ই-বাইক, ম্যানহোল পরিষ্কারের জন্য রোবট অথবা ড্রোন উড়িয়ে মশা মারার তেল ছড়ানো—সব কিছুতেই নজির তৈরি করেছে এনকেডিএ। তারপরেও নাগরিকদের অভিযোগের শেষ নেই। আবাসনে সাপ দেখা যাচ্ছে, তার প্রতিকার চাওয়া। কিংবা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঠিকানা কী, পার্ক কতক্ষণ খোলা থাকে, ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বুকিং কী ভাবে করা যাবে—এ রকম হাজার একটা প্রশ্ন করেন নিউ টাউনের বাসিন্দারা।সেই সমস্যা মেটাতে, সমস্ত পরিষেবা এক ছাদের তলায় দিতে নতুন একটি অ্যাপ আনছে এনকেডিএ। এর নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ওয়ান সিটি ওয়ান অ্যাপ’। কী ভাবে কাজ করবে এই অ্যাপ? এনকেডিএ সূত্রে খবর, যে কেউ গুগল প্লে-স্টোর থেকে এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন। তারপর সেই অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন ইন্টারফেসে ঢোকা যাবে। সেখানেই থাকবে সব পরিষেবার খবর। সঙ্গে জানানো যাবে অভিযোগও।
এনকেডিএ-র এক টেকনিক্যাল পার্সন জানান, ৩১ বর্গ কিলোমিটার বিশিষ্ট নিউ টাউনে ৪১টি বড় আবাসন, ২৪টি হোটেল ও হাসপাতাল, ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ রয়েছে। সব মিলিয়ে দেড় লক্ষ মানুষের বসবাস নিউ টাউনে। এ ছাড়াও প্রতি দিন এক লক্ষ মানুষ বিভিন্ন কাজের জন্য নিউ টাউনে আসেন। এই আড়াই লক্ষ মানুষ বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা টোল ফ্রি নম্বর বা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। যেমন, ভাঙা ফুটপাথ, ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা কিংবা আবর্জনা সাফাই না হওয়া নিয়ে প্রচুর অভিযোগ আসে। এই অ্যাপে তার প্রতিকার মিলবে।
এনকেডিএর চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা স্মার্ট সিটি মিশন প্রকল্পের অন্তর্গত একটি পরিষেবা। এর মাধ্যমে শুধু এনকেডিএ-র পরিষেবাই নয়, তার বাইরের এলাকার ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, সিনেমা হল, খাবারের দোকান, বিনোদন পার্ক, মেলার মাঠ, এটিএম, ব্যাঙ্ক, বাসস্টপ, ইভি চার্জিং স্টেশনের মতো সবকিছুর সুলুকসন্ধান থাকবে। এই অ্যাপের সাহায্যে ভিন্ রাজ্যের বা বিদেশ থেকে কেউ নিউ টাউনে এলে এখানকার সব কিছুর খোঁজ পাবেন।’
এনকেডিএ সূত্রে খবর, ওয়েবেল টেকনোলজিস লিমিটেড (ডব্লিউটিএল) এই অ্যাপ তৈরি করছে। অ্যাপ তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব তাড়াতাড়ি নিউ টাউনের বাসিন্দারা এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। অচিরেই এক ক্লিকেই মিলবে নিউ টাউনের সব কিছুর খবর।