হাইকোর্টের রায়ে চাকরি হারা হয়েছেন সদ্য। চাকরি ফিরে পাওয়ার আশা নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর। পেশাগত জীবনের অনিশ্চয়তাকে সঙ্গ করেই ভোটের কাজে নামলেন শিক্ষিকা। আদালতের রায় চাকরি নট হলেও নির্বাচনী কাজে অবিচল তিনি।রায়গঞ্জের দেবীনগর কৈলাস চন্দ্র রাধারাণী বিদ্যাপীঠ স্কুলের শিক্ষিকা তিনি। অর্থনীতি বিষয়ে পাঠদান করেন প্রিয়াঙ্কা গুহ। এতদিন সব ঠিকঠাক চলছিল। গত সোমবারের হাইকোর্টের রায় বদলে যায় জীবনটা। এক নিমেষে চোখের সামনে অন্ধকার দেখতে হয়। এদিকে, ততদিনে ভোটের ডিউটির নোটিশ চলে এসেছে। আগামীকাল, শুক্রবার রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ডিউটি রয়েছে তাঁর।
চাকরি হারানোর বিষয়টি মাথায় রেখেও ভোটের কাজে হাজির তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারে হাজির হয়েছেন নির্বাচনী কর্মীরা। সেখানেই দেখা গেল তাঁকে। প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে ভোট সামলাতে হবে তাঁকে। রায়গঞ্জ গার্লস হাইস্কুল তাঁর ভোটকেন্দ্র।
তিনি বলেন, ‘আমি মাথা উঁচু করে বলতে পারি, আমরা কোনওভাবেই দোষী নয়। সেই কারণে, বলতে পারি, এই ডিউটি করাটা আমার কর্তব্য। সেই কারণেই এই ভোটের কাজে এসেছি।’ যদিও, এইসব কিছু মাঝেই মনে একটা আশঙ্কা, মানসিক চাপ রয়েছে সে কথাও স্বীকার করে নেন তিনি। তবে তিনি এও জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উপরেই তাঁরা ভরসা করছেন। তাঁদের যেন সমস্যার সুনিশ্চিত সমাধান করা হয় সেটাই চাইছেন তিনি।
কিন্তু, এহেন অবস্থায় তাঁর প্রতিক্রিয়া কী? প্রিয়াঙ্কা জানালেন, শেষ তিনদিন আমাদের উপর দিয়ে কী গিয়েছে, আমরাই জানি। পাঁচ বছর ধরে চাকরি করার পর যে এরকম অবস্থা হবে সেটা ভাবতেই পারিনি। তবে ভোটের কাজের জন্য শেষ একমাস ধরে মানসিক প্রস্তুতি ছিল। সেই কারণে, ভোটের কাজ করতে এলাম।
চাকরিহারা প্রার্থীদের ভোটের কাজে লাগানো যাবে কিনা, সেই নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। যদিও, এ ব্যাপারে স্বতঃপ্রণোদিত কোনও পদক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। সেক্ষেত্রে, চাকরিরত শিক্ষকরা ভোটের কাজ করতে পারবেন বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আগামীকাল, শুক্রবার রাজ্যের তিনটি কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচন সংগঠিত হবে। সেখানেই রাজ্যের একাধিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারাই ভোটের ডিউটিতে থাকছেন।