• East West Metro : সাবধানে কাজ বউবাজারে, এ বছরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর টানেল শেষে ধন্দ
    এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: পেরোতে হবে মাত্র ২.৪ কিলোমিটার। কিন্তু ওই ‘সামান্য’ পথের মধ্যেই রয়েছে তিনটে ‘গোলমেলে’ জায়গা। ২০১৯ থেকে ২০২০-র মধ্যে এই তিন জায়গায় পর পর ধস নেমে গোটা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পকেই অনিশ্চিত করে তুলেছিল। এ দিকে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশে মেট্রোর অসম্পূর্ণ কাজ যত দ্রুত শেষ হবে, তার উপরেই নির্ভর করছে হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর-ফাইভ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার পথে নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবার বিষয়টি।কিন্তু এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহের মধ্যে ওই আড়াই কিলোমিটারেরও কম দৈর্ঘ্যের পথ তৈরির কাজ চলছে ঠিকই, কিন্তু খুব ধীরগতিতে। এতটাই ধীরে যে চলতি বছরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ইতিমধ্যে তিন বার ধস নেমেছে বউবাজার চত্বরে। তেমন দুর্বিপাকের পুনরাবৃত্তি কেউই আর চান না। তাই সব রকমের সতর্কতা অবলম্বন করেই কাজ এগোচ্ছে নির্মাণকারী সংস্থা।

    সে কারণেই কাজের গতি ধীর বলে জানাচ্ছেন নির্মাণকারী সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা। বিষয়টি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেডকেও (কেএমআরসিএল) চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন তাঁরা। নির্মাণকারী সংস্থার থেকে ‘একটি’ চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে কেএমআরসিএলও।

    নির্মাণকারী সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, যে পদ্ধতিতে এখন সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছে, তাতে এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত অংশে দু’টি সুড়ঙ্গকে সমান্তরাল ভাবে ট্রেন চালানোর উপযুক্ত করতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি হয়ে যাবে। কয়েক মাস আগে অবশ্য কেএমআরসিএল সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিল, ২০২৪-এর মে মাসের মধ্যেই এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ রুট তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।

    কয়েক মাস মহড়ার পর অক্টোবরে এই অংশ বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণের উপযুক্ত হয়ে উঠবে বলেও আশা ছিল কর্তাদের। কেএমআরসিএল-সূত্রে খবর, পুজোর আগেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু ভূগর্ভের পরিস্থিতি হয়তো শেষ পর্যন্ত সেই উদ্দেশ্য সফল হতে দেবে না। হাওড়া ময়দান থেকে টানা সল্টলেক সেক্টর-ফাইভ পর্যন্ত রুটে মেট্রো চলতে হয়তো আরও কয়েক মাস লেগে যাবে।
  • Link to this news (এই সময়)