Rae Bareli Lok Sabha Election : রায়বরেলিতে মুখোমুখি গান্ধী ভাইবোন? প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিমরাজি বরুণকে চাপ বিজেপির
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
এবার কি তবে রায়বরেলিতে ভাই-বোনের লড়াই দেখবে দেশ। সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে, রায়বরেলি আসনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে পারেন বরুণ গান্ধী। শোনা যাচ্ছে, রায়বরেলি থেকে ভোটে লড়াইয়ের জন্য বরুণ গান্ধীকে প্রস্তাব দিয়েছে পদ্ম শিবির। এই আসন ২০০৪ সাল থেকে কংগ্রেসের শক্ত গড়।কংগ্রেস সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে, রায়বরেলি থেকে প্রিয়াঙ্কাকেই টিকিট দেওয়া হতে পারে। তাঁর মা, প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী সম্প্রতি রায়বরেলি ছেড়ে লোকসভার পাট চুকিয়ে রাজ্যসভায় পাড়ি দিয়েছেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনিই ছিলেন এই কেন্দ্রের সাংসদ। ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর থেকেই প্রিয়াঙ্কার লোকসভা ডেবিউ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল।
এই জল্পনার মাঝেই BJP বরুণ গান্ধীর কাছে রায়বরেলি থেকে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তাব দেয় বলে খবর। তবে সূত্রের খবর, বরুণ গান্ধী সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। গান্ধী বনাম গান্ধীর লড়াই থেকে দূরেই থাকতে চান বরুণ। তুতো ভাইবোনেদের থেকে রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও কখনও প্রকাশ্যে রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে আক্রমণ করেননি বরুণ। তাঁর BJP-তে যোগদানের শর্তই ছিল, গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে কুকথা না বলা। ফলে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রায়বরেলি থেকে দাঁড়ালেও বরুণ যে তাঁর বিরুদ্ধে ভোটের লড়বেন না তা বলাই বাহুল্য।
বর্তমানে পিলভিটের সাংসদ বরুণ গান্ধী। তবে চলতি লোকসভা নির্বাচনে BJP এই সাংসদকে টিকিট দেয়নি। বদলে পিলভিট থেকে দাঁড় করানো হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী জিতিন প্রসাদকে।
এরপর পিলভিটের ভোটারদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখে বরুণ গান্ধী জানিয়েছিলেন তিনি সংসদ এলাকার মানুষের পাশে আজীবন থাকবেন। মা মানেকা গান্ধীও দীর্ঘদিনের সাংসদ। তিনি ফের একবার উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর আসন থেকেই টিকিট পেয়েছেন।
জানা গিয়েছে, রায়বরেলিতে গান্ধীদের পরিবারের কেউ দাঁড়ালে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাকে বেছে নেওয়া উচিত তা নিয়ে একাধিক সমীক্ষা চালিয়েছে BJP। এই আসন বরাবরই কংগ্রেসের জন্য পয়া। ১৯৬৭ সাল থেকে ৯৮৪ সাল পর্যন্ত এই আসন থেকেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। নেহরু-গান্ধী পরিবারের অন্যান্য সদস্য যেমন, অরুণ নেহরু এবং শিলা কউল এই রায়বরেলি আসন থেকেই জিতেছিলেন।
অন্যদিকে, গান্ধী পরিবারের আরও এক শক্ত গড়ে থাবা বসিয়েছে BJP। অমেঠিতে ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে সেখান থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন স্মৃতি ইরানি। তবে NDA ক্ষমতায় এলেও রায়বরেলি ছিনিয়ে নিতে পারেনি তারা।
তবে ২০১৪ সাল থেকে সোনিয়া গান্ধীর ভোটের হার কমেছে রায়বরেলিতে। ২০১৪ সালে তাঁর ভোটের হার কমেছে ৮.৪৩ শতাংশ। ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৯ সাল ভোটের হার কমে ৮ শতাংশ। ফলে এবার তাঁর ছেড়ে যাওয়া এই আসনে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া মোদী-শাহরা। ২০২১ সালে রায়বরেলি সদরের বিধায়ক অদিতি সিং BJP-তে যোগদান করেন। ২০২২ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় BJP প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেসের থেকে এই আসন ছিনিয়ে নেন তিনি।
এদিকে, কংগ্রেস সূত্রে খবর, ৩০ এপ্রিলের আগে অমেঠি এবং রায়বরেলি নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবে না কংগ্রেস। ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার দ্বিতীয় দফা ভোটের জন্য অপেক্ষায় হাত শিবির। ওয়েনাড়ের মানুষ রাহুল গান্ধীর ভাগ্য নির্ধারণে ভোটদান করবেন এদিন। শুক্রবারই শুরু হচ্ছে অমেঠি এবং রায়বরেলির মনোনয়ন পর্ব।