বীরভূমে বিকল্প প্রার্থী, প্রাক্তন IPS-এর পাশাপাশি মনোনয়ন জমা আরও এক BJP নেতার
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
একই কেন্দ্রে BJP-র দুই প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল। বীরভূমে গেরুয়া শিবিরের নতুন কৌশল নিয়ে তীব্র শোরগোল। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই BJP প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছিল প্রাক্তন IPS দেবাশিস ধরের। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তিনি প্রচার শুরু করে দিয়েছেন জোর কদমে। আর এইসবের মধ্যেই ফের একবার প্রশ্ন উঠছে দেবাশিস ধরকে নিয়ে। কারণ, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে আরও এক প্রার্থী দিয়েছে BJP। মঙ্গলবারই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন BJP-র ঘোষিত প্রার্থী তথা প্রাক্তন IPS অফিসার দেবাশিস ধর। কিন্তু, বৃহস্পতিবার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন BJP নেতা তথা রাঢ়বঙ্গের সহ আহ্বায়ক দেবতনু ভট্টাচার্য।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দেবাশিসকে প্রার্থী করা সত্ত্বেও কেন দলের আর এক নেতাকে মনোননয়ন জমা করতে হল? তবে কি কোনও একজনের প্রার্থীপদ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে? গেরুয়া শিবিরের দাবি, তাঁদের প্রার্থী দেবাশিস। কিন্তু, নথিপত্র সংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে চায়ছেন তাঁরা। কোনও রকম ঝুঁকি এড়ানোর জন্য বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দেবতনু।
এই প্রসঙ্গে BJP-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রাখলাম। যেভাবে কলকাঠি নাড়া হচ্ছে সেই জন্য এই পদক্ষেপ।' অন্যদিকে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর বীরভূমের 'বিকল্প BJP প্রার্থী' দেবতনু বলেন, 'এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। যেমন দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তেমনই করেছি। দল যদি বলে সেক্ষেত্রে প্রচারে নামব।' অন্যদিকে, দেবাশিস ধর জানাচ্ছেন, এই পুরো বিষয়টি দলীয় সিদ্ধান্ত। পরবর্তী ক্ষেত্রে যাতে কোনও রকমের জটিলতা তৈরি না হয় সেই কারণে এই পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, IPS-এর চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দেবাশিস ধর। শীতলকুচিকাণ্ডের পর তাঁকে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। সূত্রের খবর, ইস্তফা দিলেও এখনও 'রিলিজ' পাননি তিনি। ফলে তাঁর প্রার্থীপদ নিয়ে একটা চিন্তা রয়েই যাচ্ছে। এর আগে ২০১৯ সালে মুকুটমণি অধিকারীকে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল BJP। কিন্তু, সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেও ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় তাঁর সেইবার আর BJP-র হয়ে লোকসভা নির্বাচনে লড়া হয়নি। এরপর অবশ্য রাজনৈতিক জল অনেকদূর গড়িয়েছে। তিনি যোগদান করেছেন তৃণমূলে এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের এই বারের প্রার্থী তিনিই।
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, মুকুটমণির বিষয়ে সেই অভিজ্ঞতা ভোলেনি রাজ্য নেতৃত্ব। তাই এবার আগেভাগেই বিকল্প ব্যবস্থা করা হল।