'কিছু লোক অন্তত চাকরি পাক', প্রাথমিকে ফের দু'মাসের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ আদালতের
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার পরে আজ মালদার চাকরি প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। প্রাথমিকে ২০০৯-এ মালদার পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। দু'মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের এই নির্দেশের ফলে চাকরি পেতে চলেছেন প্রায় ২৫০ পরীক্ষার্থী। এদিন এই নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মন্তব্য করেন, 'দুর্নীতি হয়েছে,তদন্ত হলে পুরো প্যানেল ক্যান্সেল হতে পারত। সেই জায়গায় কিছু লোক অন্তত চাকরি পাক।' এর প্রেক্ষিতে কাউন্সিল বলে, 'আমরা চাকরি দিতে প্রস্তুত।'এর আগে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ২০০৯-এ উত্তর ২৪ পরগনার পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ২ মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এর ফলে চাকরি পেতে চলেছেন ৮০০ পরীক্ষার্থী। ২০০৯-এ প্রাথমিকের নিয়োগে উত্তর ২৪ পরগনায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, তা স্বীকার করে নেয় উত্তর ২৪ পরগনা প্রাইমারি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল। এই দিনও বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'কী চান? তদন্ত হোক? না বোর্ড চাকরি দেবে?' এর উত্তরে কাউন্সিল এদিন বলে, 'আমরা চাকরি দিতে প্রস্তুত।'
স্বাভাবিকভাবেই আদলতের এই নির্দেশে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা জানান 'দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি, স্বাভাবিকভাবেই এই নির্দেশের ফলে অনেকটাই স্বস্তিতে আমরা, বছরের পর বছর কেটে গিয়েছে, নিয়োগের জন্য আমরা অপেক্ষায় রয়েছি। বাম জমানায় ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তির উপর ভিত্তি করে পরের বছর, অর্থাৎ ২০১০ জেলাভিত্তিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়। তবে সেই সময় টেট পরীক্ষা ছিল না। এমনকী প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতার জন্য প্রশিক্ষণও আবশ্যক বিষয় ছিল না। এরপর ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তৃণমূল জমানায় চালু হয় TET পরীক্ষা। অভিযোগ ওঠে, ২০০৯ সালের পরীক্ষা বাতিল করে দেয় রাজ্যে। ২০১৪ সালে ফের লিখত পরীক্ষা হয়। ডাকা হয় ইন্টারভিউও। তার প্রেক্ষিতেই মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় নিয়োগ বাতিল করা সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত খরিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।