Mosquito Free Country: বিশ্বের একমাত্র মশাহীন দেশ! হতবাক বিজ্ঞানীরাও, নাম জানেন?
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
বিশ্বজুড়ে মশার দাপাদাপিতে অস্থির মানুষ। ভারত তো বটেই মশার দাপট থেকে বাঁচতে পারেনি সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড কিংবা আমেরিকার মতো দেশগুলো। তবে এই বিশ্বে এমন একটি দেশ আছে যেখানে একটিও মশা নেই। নেই একটিও পোকামাকড় বা সাপ। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। মশাহীন দেশটির নাম হল আইসল্যান্ড।এই আইসল্যান্ড বিশ্বের একমাত্র মশামুক্ত দেশ। কিন্তু কী কারণে এখানে একটিও মশা নেই তা জানেন নি কেউই। দেশটি আন্টার্কটিকার মতো শীতল নয়। বা এমন নয় যে আইসল্যান্ডে পুকুর, হ্রদ বা জলাশয়ের অভাব নেই, যেখামে সাধারণত মশা বংশবৃদ্ধি করতে পছন্দ করে। আইসল্যান্ডের প্রতিবেশী নরওয়ে, ডেনমার্ক, স্কটল্যান্ড এমনকি গ্রীনল্যান্ডেও যথেষ্ট মশার উৎপাত আছে। তবে সেখানে দাঁড়িয়ে এই দেশগুলির কাছাকাছি অবস্থিত আইসল্যান্ডে কেন মশা নেই তা একটি রহস্য।
পৃথিবীতে মশার বয়স ৩০ মিলিয়ন বছরেরো বেশি। বিশ্বব্যাপী তাদের ৩,৫০০ টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে মশা ভেজা আর্দ্র পরিবেশে ভালো করে বাঁচে কিন্তু ঠাণ্ডায়ও বাঁচতে পারে। আইসল্যান্ডের জল এবং মাটির রাসায়নিক গঠন মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত নয়। কিন্তু কেন তা এখনও রহস্য যা বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে সমাধান করার চেষ্টা করছেন।
আইসল্যন্ডের শুধুমাত্র একটি জায়গায় মশা পাওয়া যায়। আর সেটি হল আইসল্যান্ডিক ইনস্টিটিউট অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম, যেখানে তাদের দেহাবশেষ বয়ামেরমধ্যে সংরক্ষিত আছে।
পরিসংখ্যান তথ্য অনুযায়ী, প্রাপ্ত বয়স্ক মশার জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ প্রতিদিন মারা যেতে পারে। তবে প্রজাতির বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার জন্য মহিলারা ডিম পাড়ার মাধ্যমে এর ক্ষতিপূরণ দেয়। নির্বিচারে পুরুষ মশা সাধারণত মাত্র ৬-৭ দিনবাঁচে। মশা ম্যালেরিয়া, লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস, জিকা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস, চিকুনগুনিয়া এবং ডেঙ্গুর মতো মারাত্মক রোগ ছড়ায়।
এটা প্রায় অসম্ভব বলে মনে হয় যে মানুষ তাদের বিশাল এবং ব্যাপক জনসংখ্যা সত্ত্বেও সমস্ত মসাকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে সক্,ম হবে। সাধারণত দেখা গেছে ৩,৫০০টিরও বেশি পরিচিত মশার প্রজাতির মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ স্ত্রী মশা মানুষকে কামড়ায় এবং তাদের অর্ধেকই মানুষের মধ্যে রোগের সৃষ্টি করে।
পৃথিবী থেকে মশা নির্মূল হলে অন্যান্য পোকামাকড় এবং মাছ যারা তাদের খায় তারাও হ্রাস পাবে, যা সমগ্র খআদ্য শৃঙ্খলকে প্রভাবিত করতে পারে। মশা না থাকায় পরাগায়ন শেষ হয়ে যাবে। পরগায়ন প্রক্রিয়ার অধীনে মশা উদ্ভিদের পরাগ বহন করে এবং বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়। আর এরফলে বিভিন্ন জায়গায় গাছ জন্মায়। মশা ছাড়া কিছু উদ্ভিদ প্রজাতির বংশবৃদ্ধির জন্য সংগ্রাম করতে পারে যা বস্তুতন্ত্রের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।