India-China Relation: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সড়ক নির্মাণ চিনের? স্যাটেলাইট ছবিতে ঘনাচ্ছে আশঙ্কার মেঘ
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
গালওয়ান সংঘর্ষের পর এখনও স্বাভাবিক হয়নি দু দেশের সম্পর্ক। তার মাঝেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশে বেআইনিভাবে সড়ক নির্মাণ করছে চিন। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তোলা স্যাটেলাইট ছবিতে এই রাস্তর ছবি ধরা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। আর এই খবর সামনে আসতেই নতুন করে উত্তেজনার চোরাস্রোত বইতেশুরু করেছে। এই নিয়ে চিন্তায় পড়েছে ওয়াকিবহাল মহল।
স্যাটেলাইট ছবিতে কী দেখা গেছে?ছবিতে দেখা যাচ্ছে রাস্তাটি শাক্সগাম উপত্যকায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিয়াচেন হিমবাহের কাছে থাকা এই উপত্যকাটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অংশ হলেও ১৯৬৩ সালে এর দখল চিনের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। যে রাস্তাটি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সেটি চিনের জিনঝিয়াং প্রদেশের G219 হাইওয়ের একাংশ থেকে শুরু হয়ে পর্বতের একাংশে মিশে যায়। ভারতের উত্তরতম বিন্দু, ইন্দিরা পয়েন্ট থেকে বেআইনি এই সড়কটির দূরত্ব মেরে কেটে ৫০ কিলোমিটার।
স্যটেলাইটের ছবিটি বিশ্লেষণ করে আরওজানা গেছে যে, গত বছর জুন থেকে অগাস্ট মাসের মধ্যে রাস্তা নির্মাণের কাজ হয়। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই ধরনের সম্পূর্ণ বেআইনি নির্মাণ দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকির হতে পারে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পসের প্রাক্তন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাকেশ শর্মার মতে, এই ধরনের নির্মাণ পুরোপুরি বেআইনি। কূটনৈতিকভাবে এর বিরোধিতা করা উচিত ভারতের। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে ভারত সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।
এই রাস্তা কেন মাথাব্যাথার কারণ?রাস্তাটি যখানে তৈরি করা হয়েছে সেটি কাশ্মীরের ‘ট্রান্স কারাকোরাম ট্র্যাক্ট’ অংশের মধ্যে পড়ে। আর অখণ্ডই কাশ্মীর ভারতের, এই নিয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান রয়েছে নয়াদিল্লির। ফলে এই ধরনের নির্মাণ সম্পূর্ণভাবে ভারতের দিক থেকে সম্পূর্ণরূপে বেআইনি।
ইতিহাস বলছে ১৯৪৭ সালে এই ট্র্যাক্টটি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গায়ের জোরে দখল করে নিয়েছিল পাকিস্তান। পরে ১৯৬৩ সালে দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত সমঝোতা করে ওই এলাকার অধিকার চিনের হতে ছেড়ে দেওয়া হয়। খুব স্বাভাবিকভাবেই ভারত এই সীমান্ত সমঝোতা বৈধবলে মনে করে না। এদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই এলাকায় যদি কোনও ধরের রদবদলের অর্থ ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার উপর আঘাত। সব মিলিয়ে এই সড়কনির্মাণের বিষয়টি পুরোপুরি বেআইনি বলে মনে করছেন তাঁরা।
তার উপর গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে দুদেশের সম্পর্ক যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তাতে এই ধরণের পদক্ষেপ দুদেশের মধ্যে অবিশ্বাসের আবহ আরও বাড়াবে বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। তাছাড়া এই ধরনের সড়ক দেশের নিরাপত্তাকেও ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।