প্রতিটি EVM-এর সঙ্গে VVPAT স্লিপ ক্রস চেক নয়, আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১০০ শতাংশ VVPAT স্লিপ মিলিয়ে দেখা হবে না। সমস্ত আবেদন খারিজ করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
EVM-এর সঙ্গে VVPAT-এর ১০০ শতাংশ স্লিপ মিলিয়ে দেখার আর্জি নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। কিন্তু, সেই আর্জি শুনল না সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে ব্যালট পেপারে ভোটদানের আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তর ডিভিশন বেঞ্চ।EVM-এর ব্যালট ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত থাকে এই VVPAT। যা ভোটদানের পর ভোটারদের নির্দিষ্ট চিহ্ন এবং প্রার্থী নাম দেখায়। একটি স্লিপ সেই মেশিন থেকে বেরিয়ে আসে যা ভোটারদের নির্দিষ্ট চিহ্নে ভোটদান নিশ্চিত করে। এই স্লিপগুলিই পরবর্তীকালে ভোট ভেরিভাই করার কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি বিধানসভা এলাকা থেকে পাঁচটি যে কোনও বুথের VVPAT স্লিপ গণনার নিয়ম জারি ছিল এতদিন। সেই নিয়মই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
বিরোধীরা যদিও দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিটি VVPAT স্লিপ গণনা করার আর্জি জানিয়ে আসছিল। EVM-এক সঙ্গে VVPAT স্লিপ ক্রস চেক করার দাবি শুনল না সুপ্রিম কোর্ট। দেশের ১০০ শতাংশ বুথে EVM-এর সঙ্গে VVPAT-এর কাগজ মিলিয়ে দেখার দাবির বিরোধিতা আগেই করেছিল নির্বাচন কমিশন। তাদের মতে, সমস্ত বুথে EVM-এর সঙ্গে VVPAT-এর কাগজ মিলিয়ে দেখতে হলে নির্বাচন প্রক্রিয়া আবার ব্যালট পেপারের জমানায় পিছিয়ে যাবে। গত বুধবার এই মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। ডিভিশন বেঞ্চও খানিকটা কমিশনের সুরেই জানায়, তারা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপও করতে পারে না বলে জানায় দেশের শীর্ষ আদালত।
এর আগে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের (ADR) প্রশ্ন ছিল, প্রতিটি বিধানসভায় ২০০টি VVPAT মেশিন থাকলেও পাঁচটির বেশি গণনা করা হয় না কেন? সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলার শুনানিতে ADR-এর আইনজীবী নিজাম পাশা বলেন, ‘VVPAT স্লিপ সংগ্রহ করে ব্যালট বাক্সে ফেলার সুযোগ দেওয়া উচিত ভোটারদের। এতে জালিয়াতির সম্ভাবনা আটকানো সম্ভব হবে।’ সংস্থার আইনজীবী আরও বলেন, ইউরোপের অধিকাংশ দেশই EVM-এর বদলে ব্যালটে ভোট করাতে শুরু করেছে। ফলে ভারতেও ব্যালটে ফিরে যাওয়া উচিত। VVPAT স্লিপ কেন ভোটারদের হাতে দেওয়া হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ADR। কিন্তু, সে ক্ষেত্রে ভোটারের পছন্দের গোপনীয়তা রাখার গণতান্ত্রিক অধিকার বজায় থাকবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না।