এবার থেকে আইনজীবীরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে ফাইলিং, তালিকা, কারণ তালিকা অর্থাৎ শুনানির জন্য নির্ধারিত মামলার তালিকা ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য পেতে সক্ষম হবেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তার নেতৃত্বাধীন নয় বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি শুরুর আগে এই ঘোষণা করেন। এর জন্য নির্ধারিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হল ৮৭৬৭৬৮৭৬৭৬। বিচার প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে, CJI বুধবার ঘোষণা করেছে যে সুপ্রিম কোর্ট এখন হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে তথ্য ভাগ করবে। এই উদ্যোগের সাহায্যে আদালত সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।২৫ এপ্রিল দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট এবার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় কজ লিস্ট, মামলা দায়ের এবং মামলার তালিকা সম্পর্কিত তথ্য প্রচার করা শুরু করবে। প্রধান বিচারপতির কথায়, 'সুপ্রিম কোর্টের অস্তিত্বের ৭৫ তম বছরে, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি ছোট উদ্যোগ চালু করেছে। ছোট উদ্যোগ হলেও এর বড় প্রভাব রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি সর্বব্যাপী পরিষেবা এবং একটি শক্তিশালী ভূমিকা নিয়েছে। এটি বর্তমানে যোগাযোগের অন্যতম হাতিয়ার।'
প্রধান বিচারপতির কথায়, ন্যায়বিচারে অ্যাক্সেসের অধিকারকে শক্তিশালী করতে এবং বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বাড়াতে, সুপ্রিম কোর্ট তার আইটি পরিষেবাগুলির সাথে Whatsapp মেসেজিং পরিষেবাগুলির একীকরণের ঘোষণা করেছে।'
বিচারপতি চন্দ্রচূড় সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। তবে এই নম্বরে কোনও মেসেজ পাঠানো যাবে না কল করা যাবে না। এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর প্রদানের পর প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, 'দৈনন্দিন কাজের অভ্যাসে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে। এর ফলে কাগজও যেমন একদিকে বাঁচবে, অন্যদিকে পৃথিবীরও মঙ্গলও হবে।' সুপ্রিম কোর্টের এই হোয়াটসঅ্য়াপ নম্বরের মাধ্যমে অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড, পার্টি-ইন-পার্সন ইলেকট্রনিক ফাইলিং সংক্রান্ত স্বয়ংক্রিয় বার্তা মিলবে। এর ফলে বারের সকল সদস্য এবং রেজিস্ট্রি কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রি দ্বারা প্রকাশিত হওয়ার সময় কারণ তালিকা পেতে সক্ষম হবেন। মামলার সফল দাখিল, দায়েরকৃত মামলায় রেজিস্ট্রি দ্বারা চিহ্নিত আপত্তি সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি এবং পরবর্তীকালে মামলা নিবন্ধনের বিষয়ে স্বয়ংক্রিয় বার্তা পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আদেশ, রায় দেখার পাশাপাশি স্টেকহোল্ডাররা তাদের মোবাইল ডিভাইসে আপডেট দেখতে পারবেন। CJI চন্দ্রচূড়ের নির্দেশনায়, সুপ্রিম কোর্ট সক্রিয়ভাবে বিচার বিভাগীয় কার্যক্রমের ডিজিটাইজেশন অনুসরণ করছে। সরকার ই-কোর্ট প্রকল্পের জন্য ৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে লোকসভা লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই কেন্দ্রের মোদী সরকারের প্রশংসা করেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। কেন্দ্রীয় সরকারের আনা নয়া ৩ ফৌজদারি আইনের সপক্ষে বার্তা দিলেন তিনি। প্রধান বিচারপতির দাবি, 'ভারত বদলাচ্ছে। ভারতীয় সমাজে এক নয়া অধ্যায় শুরু করতে চলেছে নয়া তিন ফৌজদারি আইন।' চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে দেশে লাগু হতে চলেছে ৩ ফৌজদারি আইন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম।