'৫৯ হাজার চাকরি যাবে', কীসের ভিত্তিতে মন্তব্য? এই সময় ডিজিটালে মুখ খুললেন বিজেপি বিধায়ক
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। এবার আরও ৫৯ হাজার চাকরি বাতিল হতে পারে রাজ্যে – এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বাঁকুড়া জেলার ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা। তবে, কেন তিনি হঠাৎ এই দাবি করলেন? কীসের ভিত্তিতে তাঁর এই দাবি, নিজেই জানালেন বিজেপি বিধায়ক।বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। এর আগে তৃণমূল নেতৃত্ব হাইকোর্টের বিরুদ্ধে অনেক অবমাননাকর কথা বলেছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে, কিন্তু দুর্নীতিকে চেপে রাখা যায়নি। তাঁর কথায়, ‘সবাই যেমন বিচার ব্যবস্থার প্রতি ভরসা রাখে। আমাদের ভরসা আছে। আমরা প্রতি মুহূর্তে বিচার ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য রাখছি। সেই ভিত্তিতেই আমি আমার মতামত জানিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হয়েছিল। সফলভাবে পরীক্ষা দেওয়ার পর শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন প্রায় ৫৯,০০০ এর কিছু বেশি প্রার্থী। এরপর ২০২৬ ও ২০২০ সালে তাঁদের নিয়োগ করাও হয়েছিল। তবে দুদিন আগেই এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মন্থা জানান, যে সিবিআই যদি ওএমআর শীটগুলি থেকে নিয়োজিত প্রার্থীদের যথাযথ ডেটা পুনরুদ্ধার করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে ‘ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট’ খুঁজে আনতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই প্রাথমিক টেট নিয়োগ নিয়েই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।
বিজেপি বিধায়কের দাবি, চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই দুর্নীতিতে তৃণমূলের একাধিক নেতা জড়িত আছেন। তবে, তাঁর দাবি ২৬ হাজার যে চাকরি বাতিল হয়েছে, সেখানে অনেকেই যোগ্য প্রার্থী ছিলেন, কিন্তু সরকারের অবহেলার কারণে তাঁদেরকে আজকে বিপদের মুখে পড়তে হয়েছে।
আমরা প্রতি মুহূর্তে বিচার ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য রাখছিঅমরনাথ শাখা
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের সম্পূর্ণ প্যানলে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এই নিয়োগ বাতিল নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তথা।
তবে, বিজেপি বিধায়কের দাবি নিয়ে চরম সমালোচনা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। একজন বিধায়ক কী করে আদালতের রায় দানের আগেই এরকম সম্ভাবনার কথা তুলে ধরছেন? প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, ‘হাইকোর্টের রায় যাই হোক, তা সবসময়ই স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতহীন হওয়া উচিত। হাইকোর্ট রায় দেওয়ার আগেই সেই রায় কীভাবে জেনে ফেলছেন বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্ব? তলায় তলায় ঠিক কতটা যোগসাজশ রয়েছে? ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিক বিচার ব্যবস্থার প্রতি এ এক ভীষণ লজ্জা ছাড়া কিছুই নয়!’