লঙ্কাতেই উদরপূর্তি, বেঁটে মাখেন মুখেও, শেখরের কীর্তি দেখুন এক ক্লিকেই
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
বয়স বাড়লেও কমবে না চোখের জ্যোতি। চেহারায় পড়বে না বয়েসের ছাপ। শুধুমাত্র মুখে মাখতে হবে ৫০০ গ্রাম লঙ্কা! খেতে হবে ন্যূনতম ১ কেজি। এতেই নাকি এড়ান যাবে হৃদরোগ ও স্নায়ুর সমস্যা। ভাবতে অবাক লাগছে? তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই, এটাই বাস্তবে করে দেখিয়েছেন নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা শেখর সিকদার। ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই ব্যক্তির কীর্তি।কেজি কেজি লঙ্কায় ভরে যায় পেটনদিয়ার রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের আইসমালি এলাকার বাসিন্দা শেখর সিকদার। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন নিয়ম করে কেজি কেজি লঙ্কা কেনেন তিনি। প্রথমদিকে বিষয়টাকে কেউ বিশেষ গুরুত্ব দেননি। পরবর্তীতে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিক্রেতাদের মনে। তার পর জানা যায় আসল ঘটনা। এত লঙ্কা দিয়ে কী করেন শেখর? উত্তরে শেখর জানান, তিনি বাটা লঙ্কা মুখে মাখেন। খান প্রায় কেজিখানেক। তবে দাম যখন বাড়ে সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোয় না। জিভে ঝাল কিংবা মুখে জ্বলন অনুভব করেন না? শেখর বাবুর পালটা প্রশ্ন, 'জ্বলবে কেন, অ্যাসিড নাকি? আর স্বাদ বেশ ভালোই।' অনেক সময় ভাতের পরিবর্তে শুধু লঙ্কা খেয়েই পেট ভরান। একইসঙ্গে তাঁর নিদান, 'নিয়মিত কাঁচা লঙ্কা বাটা মুখে মাখলে চেহারায় কোনওদিন বয়সের ছাপ পড়বে না। আর নিয়মিত কাঁচালঙ্কা খেলে অটুট থাকবে চোখের জ্যোতিও।'
ছোটবেলাতেই শুরু লঙ্কা খাওয়াশেখর বাবুর বৃদ্ধ মা জানাচ্ছেন, 'আগে তো এত সব মেশিনপত্র ছিল না। অনেক বড় সংসার বাংলাদেশে। ঢেঁকিতে শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো করে বস্তায় বন্দি করে ঘরে রেখে দিয়েছিলাম। শেখর তখন বছর দুয়েকের। হামাগুড়ি দিয়ে সেই বস্তার কাছে গিয়ে সব শুকনো লঙ্কা বের করে গায়ে মেখে বসেছিল। বাড়িতে তো কান্নাকাটি শুরু। সবাই মিলে দুধ, দই, ঘোল, ঢেলে পরিষ্কার করা হলো। আমরা কেঁদে যাচ্ছি আর ছেলে মুচকি মুচকি হাসছে! তার পর থেকেই একটা দু'টো করে লঙ্কা খায়। বড় হওয়ার পর থেকে চুরি করে খেত। এখন তো নিজে আনে নিজেই খায়।'
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ভাইরাল শেখর সিকদারের এই লঙ্কা খাওয়ার কাহিনি। শেখর এই কীর্তিতে হতবাক নেটিজেনরাও। বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়ায় এসেছে নেটাগরিকদের কাছ থেকেও। দিনের পর দিন এত পরিমাণ লঙ্কা খাওয়ায় তাঁর শরীরে কোনও প্রভাব পড়বে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ। যদিও শেখর কিন্তু নিজের কাজ করে চলেছেন। নিয়ম করে খেয়ে চলেছেন লঙ্কা।