'মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী বানাতে চাই', ভোট দিয়ে বললেন বিমল গুরুং
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে চলছে ভোট। আর এলাকাগতভাবে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র হল পাহাড় ও সমতলের এক মিশেল। এহেন দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে এবারের নির্বাচনে বিজেপিকে ফের সমর্থন দিয়েছেন বিমল গুরুং। আজ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন বিমল। একইসঙ্গে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ফের একবার বিজেপি জিতবে ও নরেন্দ্র মোদী ফের একবার প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেও আশাপ্রকাশ করেন গুরুং।এদিন বিমল গুরুং বলেন, 'আমরা খুবই খুশি, লোকসভা নির্বাচনে রাজু বিস্তাকে আমাদের দল সমর্থন দিয়েছে। সকাল থেকেই আমাদের লোকেরা ভোটদানের জন্য উৎসাহিত। একবার ফের আমরা নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চাই।'
রাজু বিস্তাকে সমর্থন গুরুং-এরপ্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকেই সমর্থন দিয়েছিলেন বিমল গুরুংরা। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন রাজু। পরে অবশ্য একটা সময় বিজেপি তথা এনডিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূলের কাছাকাছি আসতে দেখা যায় বিমলকে। তবে কোনওভাবেই নিজেদের দাবিদাওয়া থেকে সরতে দেখা যায়নি বিমল গুরুংদের। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের এনডিএ-তে আসেন তিনি, এবং আবারও একবার সমর্থন দেন রাজু বিস্তাকে। রাজুর হয়ে প্রচারেও দেখা যায় তাঁকে। পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধান, একমাত্র বিজেপিই করতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দার্জিলিঙে ভোটের ইস্যু কী কী?এবারেও দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে পাহাড়ে ভোটের প্রধান ইস্যুই হল সেই এলাকার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান ও ১১টি জনজাতিকে স্বীকৃতির দাবি। সেক্ষেত্রে বিমলদের আশা, বিজেপি ফের একবার ক্ষমতায় এলে তাঁদের দাবিদাওয়া পূরণ হবে। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং কেন্দ্রে জয়ের পাশাপশি, বিধানসভাতেও সেখান গেরুয়া ঝড় ওঠে। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভা মধ্যে ৫টিতেই জয় পায় বিজেপি। শুধুমাত্র কালিম্পঙে জয় পান অনীত থাপার দল বিজিপিএম প্রার্থী রুডেন সাডা লেপচা। আর চোপড়ায় জয় পায় তৃণমূল।
এবারের নির্বাচনে, তৃণমূলের হয়ে পাহাড়ে প্রচার চালায় বিজিপিএম। অন্যদিকে সমতলে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালায় তৃণমূল। লক্ষ্য একটাই দার্জিলিঙে ঘাসফুল ফোটানো। উল্লেখ্য ২০০৯ সাল থেকে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে লাগাতার জয়ী আসছে বিজেপি। তার আগে কংগ্রেস ও বামেরাও বিভিন্ন সময় জয়ী হয়েছে পাহাড়ে। তবে এখনও পর্যন্ত এই আসনে জয় পায়নি তৃণমূল। অন্যদিকে রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, পাহাড়ে এখন বেশকিছুটা কোণঠাসা বিমল গুরুং। তাই সেই বিজেপিকে সমর্থন করে পাহাড়ের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করেছেন তিনি। এখন দেখার তাঁর সমর্থনে আদৌ কোনও লাভ হয় কি না বিজেপির।