• দাদা না থাকলে আমার- কাঞ্চনের বিয়েটাই হতো না: শ্রীময়ী
    Aajtak | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
  • আলোচনায় থাকেন কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick) ও শ্রীময়ী চট্টরাজ (Sreemoyee Chattoraj)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের শিরোনামে কাঞ্চন। শ্রীরামপুর লোকসভা তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) প্রচারের গাড়ি থেকে কার্যত অপমান করে নামিয়ে দেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চনকে। এরই মধ্যে খবর আসল, অসুস্থ শ্রীময়ী চট্টরাজ। বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালের বিছানা থেকেই স্বামীর অপমানে bangla.aajtak.in-কে প্রতিক্রিয়া জানালেন কাঞ্চন পত্নী।

    কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাঞ্চন মল্লিক ইস্যুতে শ্রীময়ী বলেন, "আমি এখন দেখলাম। কিন্তু এখানে আমি কী বলব, এটা তো পলিটিক্যাল ব্যাপার। এই কাঞ্চন এল একটু আগে। আমি নিজেও অবাক হয়ে গিয়েছি। ও তো প্রায় দিনই প্রচারে যাচ্ছিল। আমার তো ভয় লাগছিল, এত গরমে যাচ্ছে সেটা নিয়ে। আজকের ঘটনাটা কেন হল কী জানি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ওঁর একটু খারাপ লেগেছে। কারণ কল্যাণদাকে কাঞ্চন খুব ভালোবাসে।"

    শ্রীময়ী যোগ করেন,  "সত্যি কথা বলতে, কল্যাণদা ছিলেন বলে আমাদের বিয়েটা সম্ভব হয়েছে। শুরু থেকে আমাদের খুব সাপোর্ট করেছে। আমার সঙ্গে কম কথা হয়। কিন্তু যখনই কথা হয়, সাপোর্ট করেছেন। উনি না থাকলে হয়তো সত্যিই আমাদের বিয়েটা হতো না। হতে পারে হয়তো কোনও ইন্টারনাল ইস্যু হয়েছে। আর গরমে তো কারও মেজাজ সবসময় ঠিক থাকে না। তবে কাঞ্চন একটু হতাশ হয়েছে, খারাপ লেগেছে।"   

    লোকসভার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হওয়ার পরে প্রায় দিনই প্রচারে বের হচ্ছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গাড়িতে নিত্যদিনই দেখা গিয়েছে কাঞ্চন মল্লিককে। সেরকমই বৃহস্পতিবার কোন্নগরের নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভোটপ্রচারে বের হন কল্যাণ। তাঁর হুডখোলা গাড়িতে উঠেছিলেন কাঞ্চন মল্লিকও। হঠাৎই উত্তরপাড়ার বিধায়ককে প্রচারগাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেন কল্যাণ। তাঁর কথা শুনে গাড়ি থেকে নেমে ফিরে যান কাঞ্চন। 

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে bangla.aajtak.in-কে কল্যাণ বলেন, "প্রচারের গাড়িতে ওঠেনি কাঞ্চন। আসলে ওঁকে দেখে গ্রামের মহিলারা খুব রিঅ্যাক্ট করছেন। বিরক্ত হচ্ছেন। আগের দিনও রঘুনাথপুরে মহিলা রিঅ্যাক্ট করেছেন কাঞ্চনকে দেখে। পার্টির ছেলেরা আপত্তি করছে। পার্টির ছেলেরা খুশি নয়। আমি ওঁকে আগের দিনও বলেছি। তা সত্ত্বেও বারবার কেন আমার প্রচারেই আসছে, কী জানি! এছাড়া পার্টির ছেলেরাই চাইছে না, কাঞ্চন প্রচারে যাক। আমাকে তো ভোটটা করতে হবে। একজন বিধায়ক, সে তো নিজেও প্রচার করতে পারেন। সেখানে তো করছেন না।" 

    অসুস্থ শ্রীময়ী চট্টরাজ। কী হয়েছে অভিনেত্রীর? এখন কেমন আছেন? গরমের দাবদাহে কাহিল সকলে। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তীব্র তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বহু মানুষ। ডিহাইড্রেশন হয়ে গিয়েছে শ্রীময়ীরও। অত্যন্ত অসুস্থ হওয়ার পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। শ্রীময়ী বলেন, "এখন আমি আগের থেকে অনেকটা ভাল আছি। তবে ডিহাইড্রেশনটা এখনও আছে, ডাক্তার ফ্লুইড চালাতে বলেছেন। স্যালাইন চলছে। তবে এখনও মাঝে মধ্যে শরীরটা খারাপ হচ্ছে। প্রেশার ফল করছে।" 

    শ্রীময়ী আরও বলেন, "শনিবার শ্যুটিং করেছি, সেই রাত থেকেই প্রচণ্ড শরীর খারাপ। আসলে আমি সারাদিন কিছু খাইনি গরমে। ওআরএস খেয়ে খেয়ে কাজ করছিলাম। সেদিন শ্যুটিংয়েও গিয়েছি খুব গরমে। বাড়ির ফেরার পরে মা বলছে পিত্তি বমি হচ্ছে নিশ্চয়। সেই সঙ্গে অ্যাসিড রিফ্লাক্স হচ্ছিল। রবিবার সারাদিন পেট খারাপ আর বমি। ঠোঁট পুরো শুকিয়ে গিয়েছিল। সুগার একেবারে নেমে গিয়েছিল। শেষে ১০টার সময় চোখে পুরো ঝাপসা দেখছিলাম, ব্ল্যাক আউটের মতো হয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে কাঞ্চন আমাদের ফ্যামিলি ফিজিশিয়নকে ফোন করে। তিনিই হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। এখন হাসপাতালে ফ্লুইড, মাল্টি ভিটামিন দিচ্ছে। খুবই দুর্বল এখনও। পরশু দিন হয়তো ছেড়ে দেবে।"

     
  • Link to this news (Aajtak)