বসিরহাটে নুসরতের বিপরীতে লড়েছিলেন সায়ন্তন, দলে কি কোণঠাসা? মুখ খুললেন বিজেপি নেতা
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
তিনি 'টিম দিলীপ'-এর অন্যতম জনপ্রিয় মুখ ছিলেন। বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের BJP প্রার্থী দিলীপ ঘোষের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ও উপস্থিত ছিলেন তিনি। বঙ্গে তখনও সেভাবে BJP-র ‘রমরমা’ ছিল না। সেই সময় থেকেই BJP-র অন্যতম সক্রিয় সদস্য ছিলেন সায়ন্তন বসু। দিলীপ ঘোষ রাজ্য BJP সভাপতি থাকাকালীন দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পান। দু'বার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্রের প্রার্থীও হয়েছিলেন সায়ন্তন।কিন্তু, পাঁচ বছরের ব্যবধানে বদলেছে অনেক কিছুই। রাজ্য BJP সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। এখন আর সেভাবে প্রচারে খুব একটা দেখা যায় না তাঁকে। বিরোধীদের একাংশ তো বটেই, দলেরই কিছু নেতার কথায়, ‘সায়ন্তন কোণঠাসা’। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন এই নিয়ে ঠিক কী মন্তব্য দুঁদে এই নেতার?
সায়ন্তন বলেন, ‘রাজনীতিতে এক এক সময় এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি বা অনুমান তৈরি হয়। তবে তা কতটা ঠিক বা কতটা ভুল তা সময় বলবে। অন্যান্য দলের সঙ্গে আমাদের কিছু ফারাক রয়েছে। এখানে কয়েক বছর ছাড়া ছাড়া রাজ্য সভাপতি বদল করা হয়। আমাদের দলে তথাগত রায় রাজ্য সভাপতি ছিলেন। তাঁর একটা টিম ছিল। একটা টিম চার, পাঁচ বছর কাজ করে। তারপর তা পরিবর্তন হয়। এই রকম চলতে থাকে। কংগ্রেস গান্ধী পরিবার ছাড়া কিছু ভাবতে পারে না, বিমান বসু বছরের পর বছর পদ আঁকড়ে রয়েছেন। যাঁরা বাইরে থেকে এসব দেখে এসেছেন তাঁরা আমাদের দলের বিষয়টি ধরতেও পারেন না অনেক সময়।’
সায়ন্তন বসু বলেন, ‘আবার হয়তো কোনওদিন ভোটে লড়ব। কিন্তু, আমরা একটা আদর্শকে সামনে রেখে দলের জন্য লড়াই করি। আমরা ব্যক্তিগত স্বার্থকে সামনে রেখে লড়াই করি না।’ তিনি প্রকারান্তে স্পষ্ট করেছেন, দলের প্রতি কোনও রাগ তাঁর নেই। একইসঙ্গে দিলীপ ঘোষ যে 'আবেগ', তা স্পষ্ট করতে ভোলেননি এই নেতা। দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রে কিছুদিন আগেই গিয়েছিলেন এবং মনোনয়নর সঙ্গী হয়েছিলেন, তা জানাতে ভোলেননি সায়ন্তন।
একইসঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও আশা প্রকাশ করেছেন সায়ন্তন। তিনি বলেন, ‘যদি মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয় তাহলে ভালো ফলাফল হবে বলে আশা করছি। ৩০-এর বেশি আসনে জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে।