Supreme Court On Streedhan: বধূর 'সম্পত্তি'-তে অধিকার নেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ! স্ত্রীধনের আওতায় কী কী পড়ে?
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
একজন মহিলা তাঁর শৈশব থেকে যে জিনিসগুলি পান তাও স্ত্রীধনের আওায় আসে। যার মধ্যে রয়েছে নগদ টাকা থেকে সোনা। রয়েছে সব ধরণের উপহার, সম্পত্তি এবং সঞ্চয়। সহজ কথায় বলতে গেলে বিয়ের সময় বা পরে প্রাপ্ত উপহারগুলিকে স্ত্রীধন হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনের প্রচরচলাকালীন বেশ কিছু শব্দ বার বার শোনা যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে মঙ্গলসূত্র এবং স্ত্রীধন। বৃহস্পতিবার স্ত্রীধন সংক্রান্ত একটি মামল চলাকলীন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। আদালত বলেছে, যে একজন মহিলারস্ত্রীধন তাঁর সম্পত্তি। তিনি তাঁর ইচ্ছেমোখরচ করারপূর্ণ অধিকার আছে। মহিলার স্বামী কখনই তাঁর সম্পত্তির অংসীদারহতে পারে না, তবে সংকটের সময় স্ত্রীর সম্মতিতে তাব্যবহারকরতে পারে।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তক বেঞ্চ স্ত্রীধন সম্পর্কিত দাখিল করা একটি বৈবাহিক বিরোধের শুনানি করার সময় বলেছিলেন যে মহিলার তার স্ত্রীধনের উপরসম্পূর্ণ অধিকার আছে। যার মধ্যে বিয়ের আগে, বিয়ের সময় বা পরে পাওয়া সমস্ত জিনিস অন্ত্রভুক্ত রয়েছে যেমন উপহার। বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকা, গয়না, জমি ও বাসনপত্র ইত্যাদি।
স্ত্রীধন কী এবং এর আওতায় কী কী আসে?স্ত্রীধন একটি আইনি শব্দ যা হিন্দু ধর্মে উল্লেখ করা আছে। স্ত্রীধন মনে অর্থ, সম্পত্তি, নথিপত্র এবং অন্যান্য জিনিস যা নারীর জন্য ন্যায্য। এমনকি মহিলারা বিয়ের সময় যে জিনিসগুলি উপহার হিসেবে পায় তা স্ত্রীধন হিসেবে বিবেচিত হয়। একজন মহিলা শৈশব থেকে যে জিনিসগুলি পয়তাও স্ত্রীধনের আওতায় আসে। এর মধ্যে আছে নগদ টাকা থেকে সোনা, সব ধরনের উপহার, সম্পত্তি এবং সঞ্চয়। একজন অবিবাহিত মহিলারও স্ত্রীধনের আইনগত অধিকার আছে।
আইনে স্ত্রীধনের অধিকার আছে?একজন হিন্দু মহিলার স্ত্রীধনের অধিকার হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, ১৯৫৬-র ১৪ ধারা এবং হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫-র ধারা ৭ এর অধীনে আসে। এই আইন একজন মহিলাকে বিয়ের আগে, বিয়ের সময় এবং বিয়ের পরে স্ত্রীধন রাখার পূর্ণ অধিকার দেয়। একজন স্ত্রী চাইলে তার স্ত্রীধন নিজের ইচ্ছানুযায়ী কাউকে দিতে বা বিক্রি করতে পারে। এর সাথে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট, ২০০৫-এর ১২ ধারাও নারীদের এমন ক্ষেত্রে গৃহীত হওয়ার অধিকার দেয় যেখানে তারা পারিবারিক হিংসার শিকার হয়। এই আইনের সাহায্যে তারা তাদের অধিকার ফিরিয়ে নিতে পারে। কিন্তু এমন অনেক ঘটনা আছে যেখানে মঙ্গলসূত্র ছাড়া বেশিরভাগ স্ত্রীধনই মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নিরাপদে রাখবে বলে নিজেরা রেখে দেয়। এই পরিস্থিতিতে আইন তাদের স্ত্রীধনের ট্রাস্টি হিসেবে বিবেচনা করে।