Lok Sabha Election 2024: গুজরাটে কখনও মুসলিমকে প্রার্থী করেনি বিজেপি! জানুন কারণ
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
গত ৩৫ বছরে গুজরাটের কোনও মুসলিম সাংসদ লোকসবায় পৌঁছতে পারেননি। আজ থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর সহানুভূতির ঢেউয়ে ১৯৮৪ সালে কংগ্রেসের আহমেদপ্যাটেল এখানকার ভারুচ লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন। কিন্তু তার পরের বারের লোকসভা নির্বাচন অর্থাৎ ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে তিনি বিজেপির চান্দু দেশমুখের কাছে ভারুচ আসনে হেরে গিয়েছিলেন।এরপর থেকে বহু লোকসভা নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু গুজরাট থেকে একটিও মুসলিম প্রার্থী লোকসভায় নির্বাচিত হননি। যদি আমরা ২০১৪ সালের নির্বাচন পর্যন্ত ইতিহাসের দিকে দেখি তাহলে দেখা যাবে জাতীয় দলগুলির মধ্যে কংগ্রেস মাত্র ১৫ জন মুসলিম প্রার্থীকে প্রার্থী করেছিল, যেখানে বিজেপি কখনও একজন মুসলিম প্রার্থীকে টিকিট দেয়নি।
গুজরাটের মোট জনসংখ্যার ৯.৫ শতাংশ মুসলমান। ১৯৬২ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম লোকসভা নির্বাচনে জোহরা চাভদা গুজরাটের বানাসকান্থা থেকে নির্বাচিত হন, তারপরে ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে দুই মুসলমান প্রার্থী ভারুচে আহমেদ প্যাটেল এবং আমেদাবাদে এহসান জাফরি লোকসভায় পৌঁছেছিলেন। ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে প্রথম এবং শেষবারের মতো সর্বাধিক ২ জন মুসলিম সাংসদ লোকসভায় পৌঁছেছিলেন।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের তরফে ভারুচ থেকে মাত্র একজন কংগ্রেস প্রার্থীকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। অথচ ভারুচ আসনে মুসলিম জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এখানে ১৫.৬৪ লাখ ভোটারের মধ্যে ২২ শতাংশ মুসলিম ভোটার। উপজাতি ভোটারের সংখ্যা ৩১ শতাংশ। আমেদাবাদ পশ্চিমে ২৫ শাতংশ মুসলিম ভোটার আছেন। গান্ধীনগরে অবস্থিত জুহাপুরা এলাকা হল সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার এলাকা। যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা চার লাখেরও বেশি। এবার গান্ধীনগর থেকে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
১৯৬২ সাল থেকে কংগ্রেস মাত্র ৪ জন মুসলিমকে প্রার্থী করেছে।কিন্তুতাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র আহমেদ প্যাটেল ১৯৭৭, ১৯৮২ এবং ১৯৮৪ সালে জয়ী হয়েছিলেন। সেন্টার অফ সোশ্যাল স্টাডিজের কিরণ দেশাই বলেন, গুজরাটের মুসলমানরা শুধু সামাজিকভাবেই নয়, রাজনৈতিকভাবেও পিছিয়ে আছেন। ২০০২ সালের দাঙ্গার পর এই পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়েছে। কংগ্রেস ১৯৮৯ সাল থেকে লোকসভা নির্বাচনে মাত্র সাতজন মুসলিম প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছে।
গুজরাট বিজেপির মুখপাত্র ভারত পাণ্ড্য মিডিয়া রিপোর্টে উদ্ধৃত করে বলেছেন যে আমাদের দল জেতার ক্ষমতার উপর ফোকাস করে। এটি ছাড়াও স্থানীয় স্তরে প্রার্থীকে ধরে রাখার মতো প্যারামিটারের ভিত্তিতে টিকিট দেওয়া হয়। কংগ্রেসের মণীশ দোশি বলেছেন যে গুজরাট বিধানসভায় আমাদের তিন জন মুসলিম বিধায়ক রয়েছে। আমরা আগেও মুসলিম প্রার্থীদের টিকিট দিয়েছি কিন্তু তাদের কেউই জিততে পারেননি।