সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যলেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য
এই সময় | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সন্দেশখালিতে নেমেছে এনএসজি। এরই মাঝে মিলল আরও এক বড় খবর। সন্দেশখালিতে জমি দখল ও যৌন নিগ্রহের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। একটি সংবাদ সংস্থার তরফে এমনই একটি খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি বি আর গভাই ও সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে বলে জানাচ্ছে ওই সংবাদসংস্থা।প্রসঙ্গত মাস কয়েক আগে সন্দেশখালিতে জমি দখল, ও মহিলাদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য রাজনীতি। শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা ও তাঁদের সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে নামেন সন্দেশখালির বাসিন্দার। গোটা আন্দোলন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মহিলাদের বিশেষভাবে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। চাষের জমি জোর করে দখলের মধ্যে গিয়ে মাছের ভেরি তৈরি করা এবং মহিলাদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ ক্যাম্প করে অভিযোগ নেওয়া হয় সাধারণ মানুষের।
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ন্যায়বিচারের স্বার্থে সন্দেশখালির ঘটনায় যে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন, সে বিষয়ে আদালতের কোনও সন্দেহ নেই। মহিলাদের উপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তফসিলি জনজাতির জমি কেড়ে নেওয়া-সহ বিভিন্ন অভিযোগ বিবেচনা করে আদালত সিদ্ধান্ত নেয়, সন্দেশখালির মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে সিবিআই। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি ঘটনার সূত্রপাত গত জানুয়ারি মাসে। রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে নেমে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানে শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের আক্রমণে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হন ইডি কর্তারা। মাথাও ফেটে যায় একজনের। তাঁদের তড়িঘড়ি সেখান থেকে বের করে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই ঘটনার কয়েকদিন পরেই শেখ শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে থাকেন গ্রামবাসীরা। রীতিমতো ঝাঁটা, লাঠি ও বাঁশ নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আন্দোলনে নামেন তাঁরা। শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে উঠে আসতে থাকে একের পর এক অভিযোগ। এমনকী তাঁর ভাইদের বিরুদ্ধেও প্রচুর অভিযোগ জানান স্থানীয়ার। পরবর্তীতে অবশ্য গ্রেফতার হন শেষ শাহজাহান ও তাঁর কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ।
এদিকে জমি দখল ও যৌন নিগ্রহের অভিযোগের তদন্তভার সিবিআই-কে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার।