তিনি রাজবধূ, কৃষ্ণনগরে অনেকেই তাঁকে 'রানিমা' বলে সম্বোধন করেন। অমৃতা রায়ের BJP-তে যোগদান এবং প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। কিন্তু, রানিমার সম্পত্তির পরিমাণ কত? এবার এই প্রশ্নের জবাব মিলল হলফনামা। আর হলফনামা মোতাবেক অমৃতা রায় নিজে খুব একটা বেশি সম্পদের মালিক না হলেও তাঁর স্বামী তথা কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের সদস্য সৌমেষ চন্দ্র রায় ৫৫০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের অধিকারী।হলফনামা মোতাবেক 'রানিমা'-র আয় খুবই যৎসামান্য। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তিনি আয় করেছিলেন ২৯ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট বর্ষে তাঁর স্বামীর আয় ২ লাখ ৯১ হাজার ৯৩৪ টাকা। এই মুহূর্তে রানিমার হাতে নগদ অর্থ রয়েছে ৫০ হাজার এবং তাঁর স্বামীর হাতে নগদ রয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। অমৃতা রায়ের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে ৭ লাখ ৩ হাজার ৭৪৫.৬৭ টাকা।
কত টাকার গয়না রয়েছে রানিমার?
রানিদের গয়নার সম্ভার নিয়ে কৌতুহল থাকে বিস্তর। কত গয়না রয়েছে তাঁর? হলফনামা মোতাবেক তাঁর কাছে ৪৫ গ্রাম সোনার গয়না রয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ লাখ ১৫ হাজার। অন্যদিকে, তাঁর স্বামীর সোনা রয়েছে ৩০ গ্রাম, যার বাজারমূল্য ২ লাখ ১০ হাজার।
স্থাবর সম্পদের নিরিখে রাজকীয় চমক!
অলংকারের পরিমাণ থেকে শুরু করে আয় নিয়ে বিশেষ চমক না থাকলেও সম্পদের নিরিখে চোখ কপালে তুলতে পারে অমৃতা রায়ের স্বামীর সম্পত্তির পরিমাণ। হলফনামা মোতাবেক রানিমার স্বামীর নামে নদিয়ায় ১৯টি প্লট রয়েছে। কলকাতায় রয়েছে ১.৩২ একর জমি। সবমিলিয়ে এগুলির বাজারমূল্য ২৩৪ কোটি ৭৯ লাখ ৬ হাজার ৬২৭ টাকা।
এদিকে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির মূল্য বর্তমানে দেওয়া হয়েছে ৩১৯ কোটি ২৬ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭০। সবমিলিয়ে অমৃতাদেবীর স্বামীর ক্ষেত্রে সম্পদের অঙ্কটা ৫৫০ কোটি ছাড়িয়েছে।
অর্থাৎ স্বামীর ৫৫০ কোটির বেশি সম্পদ থাকলেও তা নিজের নয়, অমৃতাদেবীর হলফনামা বলছে এমনটাই। রানিমার নিজের নামে কোনও স্থাবর সম্পত্তি নেই। রানিমার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ লাখ ১৫ হাজার, তাঁর স্বামীর ক্ষেত্রে অঙ্কটা ১১ লাখ ১০ হাজার। তাঁর স্বামীর ক্ষেত্রে অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫৫৪ কোটি ৫ লাখ ৮৩ হাজার ২৯৭। সবমিলিয়ে রানিমার স্বামীর সম্পদের পরিমাণ রীতিমতো চোখ কপালে তোলার মতো।