• ৫০বার! 'অযোগ্য' হয়ে একে অপরের হাত ধরছেন, এবারও তাঁদের যোগ্য প্রমাণ করবে দর্শক?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ফের একসঙ্গে জুটি বাঁধছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আর বড়পর্দায় প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা মানেই আরও একটা ম্যাজিক দেখার অপেক্ষায় থাকেন দর্শকরা। ৯০-এর দশকে বাংলা ছবির দুনিয়ায় রাজত্ব চালিয়েছিল এই জুটি। 'মায়ার বাঁধন', ‘বাবা কেন চাকর’, 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ' সহ লম্বা একটা ব্লকবাস্টার ছবির ট্যাগ রয়েছে এই জুটির সঙ্গে। তবে মাঝে কোনও এক কারণে একে অপরের থেকে দূরে সরেছিলেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। মাঝে এক দশকেরও বেশি সময় তাঁরা আর একে অপরের সঙ্গে কাজ করেননি। 

    দীর্ঘ ১৪ বছরের দূরত্বের পর শিবপ্রসাদ-নন্দিতার 'প্রাক্তন'-এর হাত ধরে কাছাকাছি এসেছিলেন এই 'প্রাক্তন' জুটি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। সেটা ছিল ২০১৬ সাল। তারপর আবার দর্শকদের তাঁদেরকে একসঙ্গে দেখতে পাওয়ার সুযোগ করে দেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। সৌজন্যে 'দৃষ্টিকোণ'। তবে সেটাও ছিল ২০১৮ সাল। ফের অনেকটা বিরতি। গত পাঁচবছর তাঁদের একসঙ্গে আর কোনও ছবিতে দেখা যায়নি। তবে জনপ্রিয় এই জুটি আবারও ফিরছে। আর এবারও তাঁদের মেলাচ্ছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। যোগ্য জুটির হাত ধরেই আসছে 'অযোগ্যা'। আর এটা হতে চলেছে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির ৫০তম ছবি। বুম্বাদার কথায়, এর আগে এদেশের সিনেমার ইতিহাসে কোনও জুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছে বলে মনে হয় না।

    কিন্তু কেমন সেই গল্প?

    গল্পটা ব্যাঙ্ককর্মী রক্তিম মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী পর্ণার। রক্তিমের চাকরি চলে যাওয়ায় তাঁদের সংসারের সমীকরণ হঠাৎই বদলে যায়। পরিস্থিতি কঠিন হয়, রক্তিমকে বাড়িতে থাকতে হয় এবং সন্তানের দেখাশোনা করতে হয়। এদিকে পর্ণাকে কাজ নিতে হয় ইনভেস্টমেন্ট ফার্মে। এরই মাঝে তাঁদের জীবনে এসে হাজির হয় প্রসেন। আর তাতে সাধারণ মধ্যবিত্ত ছন্দে চলতে থাকা এই মধ্যবিত্ত কাপলের জীবনের ইকুয়েশন কি বদলাবে? তার উত্তর অবশ্য ছবি মুক্তি পেলেই মিলবে।

    এই ছবিতে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার পাশাপাশি রয়েছেন শিলাজিৎ ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়। এই ছবি প্রসঙ্গে এই সময়কে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কৌশিকের মতো পরিচালকের সঙ্গে পরপর কাজ করতে পারাটা দারুণ অনুভূতি।  আর ঋতুর সঙ্গে আমি ৫০তম ছবিতে কাজ করছি। আশা করছি, এটা স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।’

    এবিষয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কথায়, ‘দীর্ঘদিন ধরে দর্শকদের ভালোবাসা পেয়ে আসাটা সম্মানের। ইশ্বর ও অডিয়েন্সের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। কৌশিকদার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও দারুণ। আশারাখি প্রত্যাশা মতো কাজ করতে পেরেছি।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)