‘শিহরণের অনেক বাকি’, সন্দেশখালির ঘটনায় কী মত প্রাক্তন NSG কম্যান্ডোর?
এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
বাংলা কি বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে? সন্দেশখালির ঘটনা কি চোখে আঙুল দিয়ে কোনও ইঙ্গিত দিয়ে গেল? চর্চা রাজনৈতিক মহলে। ভোটের মুখে সন্দেশখালিতে NSG কম্যান্ডো নামানোর ঘটনায় শাসক-বিরোধী তরজা শুরু। তবে বাংলা ‘আগ্নেয়গিরির শিকড়ে’ বসে, সামাজিক মাধ্যমে এমনটাই মত ব্যক্ত করলেন প্রাক্তন NSG কম্যান্ডো দীপাঞ্জন চক্রবর্তী।বাঙালির মাটিতে বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্য NSG কম্যান্ডোদের কাজে লাগানোর ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। নির্বাচন চলাকলাইন এহেন ঘটনা আলোচনার মাত্রাকে আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। সন্দেশখালি এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধারের কারণেই NSG কম্যান্ডোদের সাহায্য নেওয়া হয়। এদিন বিকেল থেকে ওই সন্দেশজনক বাড়িতে বিস্ফোরক উদ্ধারের কাজ করে NSG কম্যান্ডোরা। কাজে লাগানো অত্যাধুনিক মেশিন, রোবট।
তবে, বিস্ফোরক খুঁজে পাওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিষয়টি নিয়ে প্রাক্তন NSG কম্যান্ডো দীপাঞ্জন চক্রবর্তী নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘গত তিন বছর ধরে শয়ে শয়ে টিভি চ্যানেল বিতর্ক, youtube, সব জায়গায় বলে এসেছি বাংলা আগ্নেয়গিরির স্তুপে বসে আর সাধারণ বাঙালি পিকনিক উপভোগ করছে আগ্নেয়গিরির শিকড়ে বসে। সন্দেশখালি নিয়ে শিহরিত হবেন না, শিহরণের অনেক বাকি রয়েছে !’ সন্দেশখালিতে বিপুল পরিমাণ বিদেশী অস্ত্র, বোমা, বিস্ফোরক পাওয়া গেলে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রাক্তন কম্যান্ডোর মতে, ‘এখনো যদি আমরা রুখে না দাঁড়াই সন্ত্রাসবাদ আপনার দুয়ারে পৌঁছাবে। এই দেশকে রক্ষা করতেই হবে।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার মল্লিকপাড়ায় হানা দেয় সিবিআইয়ের একটি টিম। মূলত, ED আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনা এবং শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ঘটনার তদন্তে সন্দেশখালিতে যায় সিবিআই গোয়েন্দারা। তবে তাঁদের কাছে ওই এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়িতে অস্ত্র-বোমা মজুত রাখার খবর আগে থেকেই ছিল। গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে সেখানে তল্লাশি চালাতে থাকেন তাঁরা। এরপরেই ওই বাড়ির মেঝে খুঁড়ে বাক্স বন্দী বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পাওয়ার সন্দেশ করেন তাঁরা। এর আগে অবশ্য বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের ডেকে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়েছিল।
বিস্ফোরকের অনুসন্ধান পেতেই ডাকা হয় NSG-র বম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট কম্যান্ডোদের। দ্রুত ঘটনাস্থলে যান তাঁরা। সেখানে মাইন ডিটেক্টর, রোবট মেশিন সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে কাজ শুরু করেন কম্যান্ডোরা। ওই বাড়িতে থেকে বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয় বলেও জানা গিয়েছে।