Kolkata Municipal Corporation : ম্যালেরিয়ায় যেন লাগাম থাকে, বছরের শুরু থেকেই সতর্কতা
এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতায় ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হন ৫৭৬ জন। সে জায়গায় এ বার ওই একই সময়ে ১৭৬ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। অর্থাৎ, আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৭০ শতাংশ কম বলে জানা গিয়েছে পুরসভার অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে। কিন্তু এতে মশাবাহিত রোগ দমনে আগামীদিনে কোনও খামতি রাখতে নারাজ কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। কারণ, ম্যালেরিয়ার আসল মরশুম মূলত শুরু হয় জুলাই মাসের শেষদিকে।রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি থাকে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। সে সময়েও যাতে গতবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকে, স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যে আজ, শুক্রবার থেকে আগামী ৩ মে পর্যন্ত ম্যালেরিয়া দমনে একগুচ্ছ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষ্যে শহরের প্রতিটি বরোর স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। ম্যালেরিয়া দমনে পুরকর্মীদের কী কী কাজ করতে হবে, সেখানেই সেই তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালে কলকাতায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন ১৬ হাজার ১০০ জন। ২০২৩-এ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৫৬২। গত বছরের আক্রান্তের হিসেবে ৬৯টি ওয়ার্ডকে অতি ম্যালেরিয়া প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব বরোকে। ১৪৪টি ওয়ার্ডের ৬ হাজার নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ে অভিযানও চালাতে বলা হয়েছে। ওই নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ে কী কাজ হয়েছে, সে সংক্রান্ত রিপোর্টও জমা করতে হবে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। প্রতিদিন ওয়ার্ড-পিছু অন্তত একটি করে অ্যানোফিলিস মশার আঁতুড়ঘর খুঁজে বের করে তা নষ্ট করতে হবে। ম্যালেরিয়ার রোগী কোথাও চিহ্নিত হলে তাঁর উপর নজরদারির পরামর্শও দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।
বাড়ির ছাদে নজরদারির পাশাপাশিই ওভারহেড জলাধার ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে পুরকর্মীদের। ম্যালেরিয়া থেকে সুরক্ষিত থাকতে কী কী করণীয়, তা নিয়ে চালাতে হবে প্রচারমূলক কর্মসূচি। পুরসভার মুখ্য পতঙ্গিবিদ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘যে যে এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা গতবার বেশি ছিল, সেগুলিকে চিহ্নিত করে বাড়তি নজরদারি শুরু হয়েছে বছরের গোড়া থেকে। আশা রাখছি, গতবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা এ বার কমবে।’