JNU Vice Chancellor on Wearing Hijab: 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার স্বাধীনতা থাকা উচিত', মন্তব্য JNU-র উপাচার্যের
এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার স্বাধীনতা নিয়ে মতপ্রকাশ করলেন জওহরলল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত। হিজাব পরার স্বাধীনতার বিষয়ে তাঁর মত প্রকাশ করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি পোশাকের বিষয়ে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার স্বাধীনতা নিয়ে মতপ্রকাশ করেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত। হিজাব পরার স্বাধীনতার বিষয়ে তাঁর মত প্রকাশ করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি পোশাকের বিষয়ে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট পোশাক বিদি নিয়ে অসম্মতি প্রকাশ করেন। তিনি এও বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিস্বাধীনতা বজায় রাখা উচিত। তিনি বলেন, আমি ড্রেস কোডের বিরুদ্ধে। আমি মনে করি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি উন্মুক্ত হওয়া উচিত। কেউ যদি হিজাব পরতে চায় তাহলে এটি তাদের পছন্দ। কেউ যদি এটি পরতে না চায় তাহলে তাদের বাধ্য করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, খাবার এবং পোশাক ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। আমি মনে করি না প্রতিষ্ঠানগুলির এ বিষয়ে কোনও নিয়ম বাধা উচিত। ব্যক্তিগত পছন্দকে সম্মান করা উচিত। তিনি বলেন, জেএনইউতে ছাত্রছাত্রীরা শর্টস বা শাড়ি-চুড়িদার উভয়ই পরতেন।
তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোলামেলা পরিবেশ এবং সম্মানের জন্য সমর্থন করেন। তাঁ মতে, হিজাব পরা বা না পরার বিষয়টি একদম নিজেদের পছন্দের হওয়া উচিত। বাহ্যিক চাপ বা জবরদস্তি না করে এটা শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। এর পাশাপাশি হিন্দিকে জাতীয় ভাষা ও শিক্ষার একটি মাধ্যম হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়ে একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, তিনি ধর্ম, জাতি বা ভাষাকে সঙ্গতির বিরুদ্ধে বলেন। ভারতে অভিন্নতা কোনও রূপে কাজ করে না।
হিজাব নয়ে বিতর্কনতুন নয়। অতীতের ঘটনাগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ২০২২ সালে কর্মাটক একটি উল্লেখযোগ্য বিরোধের সাক্ষী হয় যখন হিজাব পরার জন্য একটি সরকারি কলেজ থেকে ছয়জন মহিলা ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়।
এই ঘটনাটি ধর্মীয় প্রতীক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পোশাক কোড সম্পর্কে একটি বৃহত্তর কথোপকথনকে আলোড়িত করেছে, রাজনৈতিক দলগুলি এই বিষয়ে বিপরীত অবস্থান নিয়েছে।
কর্ণাটক ছাড়াও ভারতের অন্যান্য অংশে যেমন পশ্চিমবঙ্গ এবং গুজরাটেও একই ধরনের বিরোধ দেখা দিয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়গুলি ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সাংস্কৃতিক অনুশীলনের উদ্ধৃতি দিয়ে শিক্ষাগত স্থানগুলিকে হিজাব অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে কথা বলেছে।