বর্তমানের দেখা নেই, বরং উলটে দেখা গেল প্রাক্তনকে। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পুজো দিলেন উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। শকুন্তলা কালীবাড়িতে পুজো দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরেও পুজো দেন কল্যাণ। এদিন কল্যাণের সঙ্গে দেখা যায় প্রবীর ঘোষালকেও।কল্যাণের সঙ্গে পুজো দিলেন প্রবীরগতকাল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে। আজ আর তাঁর প্রচারে দেখা যায়নি কাঞ্চনকে। বরং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে দেখা গেল প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাককে। একসঙ্গে দু'জনে পুজোও দেন কোন্নগর শকুন্তলা কালিবাড়িতে। মেগা র্যালি করে উত্তরপাড়া থেকে মনোনয়ন জমা দিতে চুঁচুড়া রওনা দেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী।
উত্তরপাড়া বালি খাল থেকে শুরু করেন মেগা র্যালী। সেখান থেকে কোন্নগর শকুন্তলা কালী মন্দিরে এসে পুজো দেন বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন উত্তারপাড়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। প্রবীর ঘোষাল যদিও গত ২০২১ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তরপাড়া থেকেই। ভোটে কাঞ্চন মল্লিকের কাছে পরাজিত হন প্রবীর।
কল্যাণের প্রশংসায় প্রবীরএদিন প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, 'কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তিনবার জিতেছেন, এবারও জিতবেন। আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু, শুধু বন্ধু নন, তিনি একজন আদর্শ সাংসদ। পার্লামেন্টে ভোটে জিতে অনেক জনপ্রতিনিধিকেই আর ময়দানে দেখা যায় না। বিপরীত কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়, যে দিন নেই রাত নেই, সব সময় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গিয়েছেন।
'চাপটা মার্জিন বাড়ানোর'এদিকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর কল্যাণ বলেন, 'দেড় লাখের বেশি ভোটে জিতব আগেই বলেছি। মানুষ চাইছে সেই ব্যবধান যেন দুই লাখের বেশি হয়। এবারের চাপটা মার্জিন বাড়ানোর। আমি পনেরো বছরের সাংসদ। পনেরো বছর ধরে রয়েছি মানুষের সঙ্গে। এই এলাকার জন্য অনেক কাজ করেছি। আমাদের সংগঠন আছে। আমাদের বিধায়ক থেকে শুরু করে সকলেই কাজ করেন। ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে ক্রেজ ছিল তা আবার ২০২৪ সালে রয়েছে। মানুষ মমতার সঙ্গে রয়েছে। সব বিধানসভা থেকেই ব্যবধান বাড়বে। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে মিশ্র মানুষের বাস। বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে। কিন্তু মানুষ এখন সেটা গ্রহণ করছে না।'