• সন্ত্রাস দমনে বিশেষ দক্ষতা, সন্দেশখালিতে কেন নামল NSG? কী কাজ করেন 'ব্ল্যাক ক্যাট' কম্যান্ডোরা?
    এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • চারিদিকে বিঘার পর বিঘা জুড়ে ভেড়ি। তারই মাঝে একটি সন্দেহজনক বাড়িকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন কাণ্ড সন্দেশখালিতে। সেই বাড়ির মধ্যেই মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক। এমনটাই মনে করেছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সামান্য কিছু অস্ত্র, বোমা মজুতের ঘটনার থেকেও আরও ভয়ঙ্কর। বারুদের স্তুপে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালি? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ দানা বাঁধতেই ডাক পড়ল NSG কম্যান্ডোর।NSG কম্যান্ডোর কাজ কী?

    NSG অর্থাৎ ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড। দেশের সাতটি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে একটি হল NSG। এটি ভারত সরকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা একটি সন্ত্রাস বিরোধী ইউনিট। মূলত, দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদীদের যে কোনও কার্যকলাপকে প্রতিহত করার জন্য NSG কম্যান্ডোদের কাজে লাগানো হয়। জঙ্গিহানা, জঙ্গিমূলক কার্যকলাপ রোধ, প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধারের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয় এই কম্যান্ডোদের।

    সন্দেশখালিতে NSG কেন?

    গত কয়েকমাস ধরে রাজ্য রাজনীতির চর্চায় সন্দেশখালি। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি প্রথমে সন্দেশখালিতে ED হানা। সেখানে ED আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনা। এরপর থেকে পলাতক শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালির গ্রামের বাসিন্দাদের আন্দোলন শুরু। মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ, জমি দখল, জমি উচ্ছেদের ঘটনায় সরগরম হয় সন্দেশখালি। শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়ার পর এই ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে CBI।

    Sandeshkhali Sheikh Shahjahan : 'সিবিআই তদন্ত হলে খুব ভালো হবে' মন্তব্য শাহজাহানের

    শুক্রবার সেই কারণেই, CBI -এর একটি টিম সন্দেশখালি যায়। সেখানে সরবেড়িয়া, আগরহাটি মুল্লিকপাড়ার একটি গ্রামে হানা দেয় CBI গোয়েন্দারা। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়।

    সন্দেশখালিতে ব্যবহৃত রোবট

    সেখানেই বিপুল বিস্ফোরক পদার্থের সন্ধান মেলে। এরপরেই বাধ্য হয়ে NSG কম্যান্ডোদের ডাকতে হয় তাঁদের। বড় দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই কারণে NSG -র অত্যাধুনিক কৌশল ও যন্ত্রাদি কাজে লাগানোর জন্যেই সন্দেশখালিতে পা পড়ল NSG-র।

    বারুদের স্তুপে সন্দেশখালি?

    সন্দেশখালিতে মূলত, জমি দখল, মহিলাদের উপর অত্যাচারের তদন্ত চালাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তবে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে কিছু অস্ত্র ভাণ্ডারের সন্ধান পান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই তল্লাশি করতে গিয়েই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে বলে ধারণা। ওই বাড়ির মেঝের নিচে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ভাণ্ডার পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে। যদিও, এ ব্যাপারে সরকারি ভাবে সিবিআইয়ের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক থাকার বিষয়টি বুঝতে পেরেই NSG কম্যান্ডোদের ডাকা হয়। তাঁরা অটোমেটিক রোবট স্ক্যানার, মাইন ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করেন।
  • Link to this news (এই সময়)