নিজের ইমেজকে সর্বপন্থী উদার রাখার চেষ্টার নাম সৌজন্য, 'গদ্দার' নিয়ে দেবকে নিশানা কুণালের
প্রতিদিন | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতির ক্ষেত্র আর অভিনয়ের ক্ষেত্রকে বরাবর পৃথক করে রাখতে সক্ষম তিনি। ভরপুর লোকসভা ভোটের সময়েও কাঁটায় কাঁটায় সেই কর্তব্য পালন করে চলেছেন। রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেই ব্যক্তি আক্রমণে বিশ্বাসী নন, বরং সৌজন্যের আবহ বজায় রাখতেই বেশি আগ্রহী তিনি। ভোটের আবহে এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এই সব কিছু খোলামেলাভাবেই প্রকাশ করেছেন ঘাটালের তারকা তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ দেব। আর সেই সৌজন্য ইস্যুতেই তাঁকে নিশানা করে পালটা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর খোঁচা, ?বিশ্বাসঘাতকরা আমাদের নেতা-নেত্রী-দলের বিরুদ্ধে কুৎসা করলেও তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আদিখ্যেতা করে নিজের ইমেজকে সর্বপন্থী উদার রাখার চেষ্টার নাম সৌজন্য।?
দশ বছরের রাজনৈতিক কেরিয়ারে টলিউড সুপারস্টার দেব দেখিয়ে দিয়েছেন সৌজন্য কাকে বলে। বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে কোনও কটু কথাই শোনা যায়নি তাঁর মুখে। যা নিঃসন্দেহে বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিরল। পাশাপাশি নিজের কেরিয়ার অর্থাৎ অভিনয় জগতেও বড় ব্যস্ত তিনি। তাই রাজনীতি থেকে এবার বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দল দেব-হারা হতে নারাজ। দফায় দফায় আলোচনার পর চব্বিশের লোকসভা ভোটে ফের তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। নিজের এলাকায় প্রচার তো আছেই। তাছাড়াও দলের তারকা প্রচারক হয়ে জেলায় জেলায় দলীয় প্রার্থীদের হয়ে ভোট চাইতে দেখা গিয়েছে দেবকে।
এসবের ফাঁকে বৃহস্পতিবার এক সংবাদমাধ্যমে রাজনৈতিক সাক্ষাৎকারে নিজের পছন্দ, অপছন্দ, ভাবনার কথা অকপটে বলেছেন দেব। সাফ জানিয়েছেন, কুকথা, ব্যক্তি আক্রমণ এসব পছন্দ নয়। ?গদ্দার? শব্দের পাশাপাশি ?দিদি ও দিদি? ডাক পছন্দ নয়। শিল্পের ক্ষেত্রে অকারণ রাজনীতি পছ্ন্দ নয়। সিনেমার স্বার্থে মতাদর্শে অমিল হলেও শিল্পীকেই প্রাধান্য দেন এবং দেবেন, তা স্পষ্ট করেই বলেছেন টলিউড তারকা। দলের সব কিছুর সঙ্গে তাঁর মত মেলে না, বিরোধী দলের বেশিরভাগই সমর্থনযোগ্য নয়। তিনি রাজনীতি করেন নিজের মতে, নিজের পথে। জোর দেন সকলের সঙ্গে সৌজন্য বজায় রাখায়। এমনকী বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গেও তাঁর দারুণ সম্পর্ক।
দেবের এসব খোলামেলা কথা বিশেষ পছন্দ হয়নি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। শুক্রবার তাঁর সোশাল মিডিয়া পোস্ট দেখেই তা বোঝা গেল। এক্স হ্যান্ডলে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ?দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে দলবদল সমর্থনের। বিশ্বাসঘাতকদের আচরণ সমর্থনের। বিশ্বাসঘাতকরা আমাদের নেতা-নেত্রী-দলের বিরুদ্ধে কুৎসা করলেও তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আদিখ্যেতা করে নিজের ইমেজকে সর্বপন্থী উদার রাখার চেষ্টার নাম সৌজন্য। আর বিশ্বাসঘাতক দলবদলুদের ?গদ্দার? বলা হলে সেটা আপত্তির!?