• বাংলার এমন এক জায়গায় ভোট হচ্ছে, যা দেখে চমকে গেল গোটা দেশ! কেউ ভাবতেই পারবে না
    News 18 | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • দার্জিলিং: রাজ্যের উচ্চতম ভোটকেন্দ্র শ্রীখোলা। উচ্চতা প্রায় দশ হাজার ফুট। দার্জিলিং বিধানসভা কেন্দ্রের অন্যতম স্বল্প সংখ্যক ভোটার সমৃদ্ধ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। কারণ শুধু উচ্চতমই নয়, দুর্গমতমও বটে এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। সকাল থেকেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে। এই কেন্দ্রে খচ্চরের পিঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নির্বাচনী সরঞ্জাম।

    দার্জিলিং বিধানসভার অধীনে থাকা পুলবাজার ব্লকের তিনটি বুথ অত্যন্ত দুর্গম। এই তিনটি বুথ মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার বাসিন্দা রয়েছেন। ভোটার সংখ্যা ১,৪৫৬ জন। এর মধ্যে দারাগাঁও জুনিয়ার হাইস্কুলে ১০৩৪ জন। রাম্মাম ফরেস্ট প্রাইমারি স্কুলে ২০৯ জন। এ ছাড়া সাবানদেন ফরেস্ট প্রাথমিক স্কুলের বুথে ভোটার সংখ্যা ২১৫ জন।

    দার্জিলিং সদর থেকে সংশ্লিষ্ট ওই তিনটি বুথের দূরত্ব ১০৬ কিলোমিটার। জঙ্গলে ঘেরা বুথগুলিতে গাড়িতে পৌঁছনো সম্ভব নয়। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গাড়ি চলাচলের উপায় নেই। একটা উচ্চতার পর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছনোর উপায় শুধুই হাঁটা।

    ২০১৪ সালেই প্রথম নির্বাচন দেখেছে শ্রীখোলার এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রটি। তার আগে দুর্গমতার জন্য ভোট দেওয়া হয়নি কোনওদিন। প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ভোট দিতে যেতে হওয়ায় বেশিরভাগই ভোট দিতেন না। এখনও পর্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। ভরসা সোলার সিস্টেম। এমনকী নির্বাচন হলেও রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা প্রচারেও যান না সেখানে। তবে আজ সকাল থেকেই ভোট দিতে চলে আসেন গ্রামের বাসিন্দারা। সেখানে সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নে চলছে ভোট গ্রহণ।

    শ্রীখোলা ছাড়াও, দারাগাঁও এবং রাম্মামও দুর্গম ভোটকেন্দ্রগুলির মধ্যে উচ্চতম শ্রীখোলা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি বেশ দুর্গম এলাকায়। ফলে, কোনও যানবাহনে সেখানে পৌঁছনো সম্ভব নয়। তাই ওই এলাকায় ভোট নিতে ৫-১৫ কিলোমিটার হাঁটা পথই ভরসা নির্বাচন কর্মীদের। ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের ভোট নিতে নির্বাচন কর্মীরা খচ্চরের পিঠে ইভিএম মেশিন-সহ ভোট সামগ্রী চাপিয়ে নিজেরা পায়ে হেঁটে পৌঁছেছেন এলাকায়। সেজন্য একদিন আগেই তাঁদের ওই এলাকায় পৌঁছে যেতে হয়েছে। এলাকায় ভোট নিরাপত্তা রক্ষায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পাঠানো হয়েছে।’
  • Link to this news (News 18)