• ভোটের মাঝেই রক্তাক্ত মণিপুর! জঙ্গি হামলায় শহিদ ২ CRPF জওয়ান
    এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • মণিপুরে সহিংসতার কোনও লক্ষণও নেই। লোকসভা ভোটের মাঝেই রক্তাত হল মণিপুর। ভোটের মাঝেই মণিুপুর নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা। শনিবার সকালে মণিপুরের বিষ্ণুপুরে CRPF জওয়ানদের উপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। সংঘর্ষে দুই CRPF জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। দুই জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছেন। এটিকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই মনে করা হচ্ছে। মণিপুরের নারানসেনা এলাকায় সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের হামলায় নিহত হয়েছেন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) দুই সদস্য ।বেশ কিছুক্ষণ ধরে গুলির লড়াই চলে। দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে আউটপোস্ট লক্ষ্য করে। শক্তিশালী বিস্ফোরণের আহত চারজন সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে দুই জওয়ানকে বাঁচানো যায়নি। বাকি দুইজন গুরুতর আহত। বর্তমানে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    মধ্য় রাতে সেনা-দুষ্কৃতী সংঘর্ষ চলে। হামলার পিছনে কে বা কে বা কারা জড়িত এখনও পর্যন্ত তা জানা যায়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। জঙ্গিদের একটি দল গুলি চালায় নারানসিনা গ্রামের একটি পাহাড় থেকে উপত্যকা অঞ্চলের দিকে। হামলা হয় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পোস্ট লক্ষ্য করে। গোলাগুলিতে গুরুতর আহন হন নিরাপত্তী কর্মী। যে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা নারানসিনায় নিযুক্ত সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ১২৮ ব্যাটালিয়নের সাব-ইন্সপেক্টর এন সরকার এবং হেড কনস্টেবল অরূপ সাইনি। ইন্সপেক্টর যাদব দাস ও কনস্টেবল আফতাব দাস গুরুতর আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে হামলাকারীরা মধ্যরাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হামলা চালিয়েছে।

    জঙ্গিরা ক্যাম্পটিকে লক্ষ্য করে পাহাড়ের চূড়া থেকে নির্বিচারে গুলি চালায়। গোলাগুলি শুরু হয় প্রায় রাত সাড়ে ১২টা থেকে চলে প্রায় আড়াইটে পর্যন্ত। জঙ্গিরা বোমাও ছোড়ে, যার মধ্যে একটির বিস্ফোরণ হয় CRPF এর ১২৮ ব্যাটালিয়নের ফাঁড়িতে। উল্লেখ্য, মণিপুরে সহিংসতার ঘটনা নতুন নয়। গত বছর থেকে শুরু হয়ে হিংসার ধারা এখনও চলছে। এখনও পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০০-এরও বেশি মানুষ। গুরুতর আহত হয়েছেন কয়েক হাজার জন। বহু মানুষ ঘরছড়া। গত বছরের মে মাস থেকে সহিংতা ও আগুন লাগানোর ঘটনা পর গুলি চলার ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, এ রাজ্যে জাতি সংঘর্ষে উস্কানি দিচ্ছে শাসকদল বিজেপি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। জাতি সংঘর্ষে রক্তাক্ত মণিপুরের পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে আলেচিত।
  • Link to this news (এই সময়)