• কালিয়াগঞ্জে দিনভর ঘাঁটি গাড়লেন কৃষ্ণ, রায়গঞ্জ সামলালেন পুর-প্রশাসক সন্দীপ
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • সন্দীপন দত্ত, রায়গঞ্জ: হিসেব কষে ভোট পরিচালনা! শুক্রবার দিনভর তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী ঘাঁটি গেড়ে থাকলেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের ‘গড়’ কালিয়াগঞ্জে। আর সকাল থেকে একা হাতে রায়গঞ্জের ভোট সামলালেন পুর-প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস। প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই, দাবি তৃণমূল প্রার্থীর।

    সকাল সকাল ভোট পরিদর্শনে বেরিয়ে জয়ের বিষয়ে এই আত্মবিশ্বাস ও প্রত্যয়ের কথা শোনান তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর মন্তব্য, ‘আমাদের জয়ের ব্যবধান এতটাই বেশি হবে যে কে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল, বোঝা যাবে না। ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে আমি জিতব।’ কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রামজ ওরফে ভিক্টরের প্রতি তাঁর কটাক্ষ, ‘যিনি চাকুলিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে নিজের জামানত বাঁচাতে পারেন না, তিনি আবার ভোটে ফ্যাক্টর হবেন কী করে?’ শুক্রবার সকাল ৭টায় রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের ১৪১ নম্বর বুথে পৌঁছে যান কৃষ্ণ কল্যাণী। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী নিশা কল্যাণী, মা উর্মিলা দেবী কল্যাণী ও দাদা নারায়ণ কল্যাণী। ওই বুথে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হলে প্রথম ভোটদাতা হিসেবে ভোট দেন তিনি। এরপর সোজা তিনি চলে যান পুর-প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ওই ওয়ার্ডের বীরনগর জিএস এফপি স্কুলের বুথ ঘুরে দেখেন। সেখান থেকে চলে যান কিছুটা দূরে দক্ষিণ বীরনগরের উপেন্দ্রমোহন এফপি স্কুলে। এরপর শহরের আরও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে তিনি চলে যান হেমতাবাদ বিধানসভায়। সেখানে গ্রামাঞ্চলের কয়েকটি বুথ ঘুরে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে তিনি সকাল ১০টার আগেই পৌঁছন কালিয়াগঞ্জ শহরে। বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের ‘গড়’ বলে পরিচিত এই শহরে দীর্ঘক্ষণ ভোটপর্ব পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। কখনও ফোনে, কখনও সাক্ষাতে তাঁকে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিতে দেখা যায়। কালিয়াগঞ্জের ১৭টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি বুথ ঘুরে দেখেন। দুপুরের পর তিনি কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা এলাকার গ্রামাঞ্চলে যান। আড়াইটে নাগাদ কোনওরকমে মধ্যাহ্নভোজ সেরে তিনি চলে যান রায়গঞ্জ বিধানসভার গ্রামাঞ্চলে। কৃষ্ণ বলেন, ‘মানুষ নিঃশব্দে ভোট দিয়েছেন। রেকর্ড মার্জিনে জিতব।’ 

    এদিকে, একাই সারাদিন রায়গঞ্জ শহরের ভোট সামলান সন্দীপবাবু। দক্ষিণ বীরনগরের উপেন্দ্রমোহন এফপি স্কুলের অদূরে দাঁড়িয়ে ভোটারদের জলের বোতল, চেয়ার এগিয়ে দিতে দেখা যায় তাঁকে। মাথায় টুপি দিয়ে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেই ছুটে বেড়ালেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। তাঁর ওয়ার্ডের প্রবীণ নাগরিকদের টোটো করে বাড়ি থেকে বুথ, ভোট শেষে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এমনকী, অসুস্থ মানুষদের ভোটদানের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি। সন্দীপ বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে ২০ জন ভোটার অসুস্থ। তাঁদের জন্যই এই পরিষেবা।’  তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী।-নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)