• সুপ্রিম কোর্টের শো-কজ নোটিস, তীব্র অস্বস্তিতে বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের কড়া পদক্ষেপে প্রবল অস্বস্তিতে বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। বর্তমানে তিনি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) সভাপতি এবং ভারতীয় ওলিম্পিক্স সংস্থার (আইওএ) যুগ্ম-সচিব। শুক্রবার তাঁকে শো-কজের নোটিস দিয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি পি এস নরসিমহার বেঞ্চ। কেন তাঁকে এই দু’টি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তার জবাবই চাওয়া হয়েছে কল্যাণের কাছ থেকে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মানিকতলা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সাধন পান্ডের কাছে হেরে যান কল্যাণ। এরপরই ওই আসনে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু অভিযোগ, মামলার শুনানির জন্য কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দেননি। মামলার কাজেও আদালতের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন না। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, কল্যাণ এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবেই আদালতের আদেশ অমান্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে এদিন কল্যাণকে সতর্ক করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। 

    কল্যাণ কলকাতা হাইকোর্টে নির্বাচনী পিটিশন দায়ের করায় এই আসনে এখনও উপনির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। অভিযোগ, এআইএফএফ এবং আইওএ-র প্রশাসনিক কাজ নিয়ে ব্যস্ততার অজুহাতে তিনি আদালতে গরহাজির থাকছেন। তাই দেশের শীর্ষ আদালত এদিন তাঁকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে। বলেছে, আপনাকে ওই দু’টি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। কারণ একটি কেন্দ্রের নির্বাচনের বিষয়টি এর সঙ্গে জড়িত। এই বিষয়ে কল্যাণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টকে  ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট থেকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে মোট ১৫ দিন হাজিরা দিয়েছি।’ কল্যাণ জানান, কোনও নোটিস না পাওয়ায় এই মামলার বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমিও চাই মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হোক। দীর্ঘ সময় ধরেই হাইকোর্টে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছি। আগামী দিনেও দেব।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)