• রাজনীতির নামে চাকরি খাওয়া! ছাড়ব না: মমতা
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • শ্রীকান্ত পড়্যা ও পিনাকী ধোলে, পিংলা ও গড়বেতা: ধর্ম, মাথার উপর ছাদ, কিংবা চাকরি—বেঁচে থাকার জন্য সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারকে রাজনীতির শূলে চড়ানোর জন্য বারবার বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ইস্যু উন্নয়ন না হয়ে যদি সন্দেশখালি কিংবা আতান্তরে পড়া ২৬ হাজার মানুষ হয়, তাতে আক্রমণের ধার আরও সপ্তমে নিয়ে যান বাংলার অগ্নিকন্যা। শুক্রবারও তার অন্যথা হল না। মানবিক কারণে যে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর পাশে রাজ্য সরকার দাঁড়িয়েছে, তাঁদেরই হাতিয়ার করে মালদহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন রাজনীতিতে শান দিলেন, গর্জে উঠলেন মমতাও। চাকরিহারাদের এই পরিস্থিতির নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ বারবার করছেন নেত্রী। আর এদিন তাঁর হুঙ্কার, ‘রাজনীতির নামে চাকরি খাওয়া! ছাড়ব না। কাউকে ছাড়ব না।’ 

    ঘাটালের দলীয় প্রার্থী দেব এবং ঝাড়গ্রামের কালীপদ সরেনের সমর্থনে পিংলা ও গড়বেতায় দু’টি সভা করেন মমতা। পরিবেশের তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে রাজনীতির উত্তাপেই গেরুয়া শিবিরের রাজনীতিকে বেআব্রু করে দেন তিনি। চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক রং’ মাখিয়ে ভোট বাজারে পরিবেশন করার ক্ষেত্রে রামের দোসর হয়েছে বামেরাও। আর তাই সিপিএমকেও এক সারিতে রেখে আক্রমণ শুরু করেন মমতা। এই ইস্যুতে বিজেপির পোস্টার বয় নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যকে সিপিএমের আইনজীবী নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সমর্থনও যে তাঁর নিশানায়, সেটা স্পষ্ট বুঝিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই রাম-বাম দু’পক্ষকেই কটাক্ষবাণে বিদ্ধ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেছেন, ‘মানুষখেকো বাঘ দেখেছেন। কিন্তু চাকরিখেকো মানুষ দেখেছেন কি? দেখেছেন চাকরিখেকো বিজেপি পার্টি? দেখেছেন চাকরিখেকো সিপিএম পার্টিকে?’ এই পর্বেই আরও আগ্রাসী কণ্ঠ মমতার। বলেন, ‘যে বা যারা ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিল, তাদের ছেড়ে দেব নাকি? কখনওই না! কারও চাকরি এভাবে খাওয়া যায় না। যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, বলতেন... সংশোধন করে নিতাম। কিন্তু ওঁরা (চাকরিহারারা) শ্রম দিয়েছেন, সেই শ্রমের টাকা আপনি ফেরত নেবেন কী করে?’

    একলপ্তে এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরি হারানোয় পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বেই। সেটাই এখন রাজ্যের সর্বত্র আলোচনার বিষয়বস্তু। সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে মমতার কথাতেও। বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের প্রশ্ন, ‘স্কুলগুলিতে পড়াবে কে?’ এরপরই নাম না করে কটাক্ষে বিঁধেছেন মোদিকে। তাঁর কথায়, ‘সেনা স্কুলের দায়িত্ব আরএসএসকে দিয়েছেন। তবে কি এখানেও আরএসএসকেই দায়িত্ব দেবেন?’
  • Link to this news (বর্তমান)