• ত্রিপুরায় ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ভোট দিলেন পাহাড়ি গ্রাম বিলাইহামের বাসিন্দারা
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • সুতপা গুহ, বিলাইহাম: রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। কিন্তু সারাদিনে ২-১ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। নেই পানীয় জলের সুব্যবস্থা। গ্রামের বাচ্চাদের স্কুল প্রায় আট কিলোমিটার দূরে। যাতায়াতের ভরসা হাঁটাপথ। আর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তথৈবচঃ। বিদ্যুৎ, জল আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দাবিতে প্রায় ১০ কিলোমিটার হেঁটে এসে শুক্রবার  ভোট দিলেন বিলাইহাম গ্রামের বাসিন্দারা।

    ত্রিপুরার খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমার আঠারোমুড়া গ্রামের পাহাড়ের চূড়ায় শেষ গ্রাম বিলাইহাম। গ্রামজুড়ে বাঁশের টং ঘর। বিলাইহামে মোট ৩৩৫ জন ভোটার। যার মধ্যে পুরুষ ও মহিলা ভোটারের সংখ্যা যথাক্রমে ১৭৫ ও ১৬০। এই পাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করেন। এঁদের অনেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার হেঁটে এসে ভোট দিলেন। এদিন ভোট দেন জনৈক তানসাকিয়া রিয়াং। তিনি পেশায় ঝুমচাষি। বললেন, ‘পাহাড়ের উপরে আমাদের এলাকায় কোনও রাজনৈতিক নেতাই আসেন না। এমনকী, লোকসভা ভোটের প্রচারেও আসেননি। আমাদের এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা, পানীয় জলের সঙ্কট। একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যন্ত নেই। কেউ অসুস্থ হলে এক-দু’হাজার টাকা খরচ করে রোগীকে তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। আমাদের দাবি, এবার ভোটে জেতার পর সাংসদ পাহাড় চূড়ার দিকে একটু নজর দিন।’ তবে, এই গ্রামের ভোটাররা জানালেন, তাঁরা রেশন থেকে নিয়মিত চাল, ডাল, সর্ষের তেল ও কেরোসিন তেল পান।

    এদিন দ্বিতীয় দফায় ছিল ত্রিপুরা পূর্ব কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। খোয়াইয়ের ঋষিপাড়ায় ১৪ নম্বর পোলিং স্টেশনে ভোট চলাকালীন মৌমাছির আক্রমণে বিপত্তির সৃষ্টি হয়। প্রায় ১৫ জন মৌমাছির হুলে জখম হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই বুথে ছুটে যান দমকলকর্মীরা।

    অন্যদিকে, এলাকায় উন্নয়ন হয়নি অভিযোগ করে গোমতী জেলার অম্পিনগরে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর জেরে খানিকক্ষণ ভোট প্রক্রিয়া থমকে যায়। পূর্ব ত্রিপুরা কেন্দ্রে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৭৯.৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিনের ভোটে খুশি বিজেপি প্রার্থী কৃতী সিং দেববর্মা ও সিপিএম প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং।
  • Link to this news (বর্তমান)