• ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ গোনার দাবি খারিজ করল সর্বোচ্চ আদালত
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ গোনার দাবি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফের পেপার ব্যালটে ভোট ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ভোটারদের হাতে ভিভিপ্যাট স্লিপ দেওয়ার আবেদনও খারিজ হয়ে গেল। শুক্রবার দুই বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত পৃথক দুই রায়দান করলেও আদতে শেষটা মিলে গেল উভয়েরই। আবেদন খারিজ।  যদিও ৫৬ পাতার রায়ে ইভিএম নিয়ে ‘সন্দেহ’ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশও দিল শীর্ষ আদালত। 

    বলা হল, ভিভিপ্যাট (ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেইল) স্লিপে বারকোড রাখা সম্ভব হয় কি না, ভেবে দেখতে পারে কমিশন। প্রয়োজনে ওই স্লিপ গোনার জন্য কোনও মেশিনও ব্যবহার করা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, ভোটযন্ত্রের যে সিম্বল লোডিং ইউনিট (যা ভিভিপ্যাট মেশিনে থাকে), সেটি অত্যন্ত নিরাপত্তার সঙ্গে সিলড করতে হবে। ইভিএমের পাশাপাশি সেটিও স্ট্রংরুমে রাখতে হবে। কমপক্ষে ৪৫ দিন। আগামী ১ মে’র পর লোকসভার যে ভোটপর্বগুলি রয়েছে, সেখানে এই ব্যবস্থা নিতে হবে। 

    তৃতীয়ত, ভোটের ফলাফল নিয়ে যদি কারও সন্দেহ থাকে, তাহলে তা পরীক্ষা করাও একটা সুযোগের কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়েছে, ফলাফলে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীরা ফল প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যে ইভিএম পরীক্ষার আবেদন জানাতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনে আবেদন করার পর ইঞ্জিনিয়রদের দিয়ে ইভিএম পরীক্ষা করা হবে। লোকসভার কেন্দ্রের অধীন যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলি রয়েছে, তার প্রত্যেকটি থেকে ৫ শতাংশ মেশিন পরীক্ষা করা যাবে। কোন বিধানসভা কেন্দ্রের কোন বুথের ইভিএম পরীক্ষা হবে, তা এই দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থানে থাকা প্রার্থী পছন্দ করতে পারবেন। তবে এই প্রক্রিয়ার পুরো খরচ ওই প্রার্থীকেই দিতে হবে। আর কোনও কারণে যদি ভোটের ফলাফলের সঙ্গে ইভিএম পরীক্ষার পর ফলে গরমিল হয়, তাহলে খরচের অর্থ ফেরৎ পাবেন প্রার্থীরা। ইভিএমে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া হল কি না, ভিভিপ্যাট স্লিপের মাধ্যমে তা দেখার সুযোগ রয়েছে ভোটারের। প্রার্থীর নাম আর রাজনৈতিক দলের প্রতীক চিহ্ন দেওয়া ব্যালট ইউনিটে বোতাম টিপে ভোটদানের পর পাশে রাখা ভিভিপ্যাট মেশিনে সাত সেকেন্ডের জন্য ফুটে ওঠে স্লিপ। মিলিয়ে নেওয়া যায়, যে বোতাম টিপে ভোট দেওয়া হল, সেই দলের নির্বাচনী প্রতীকই ওই স্লিপে দেখা যাচ্ছে কি না। যদিও ভোটদানের পর কন্ট্রোল ইউনিটে যা ভোট জমা হয়, স্লিপে দেখা প্রতীকের সঙ্গে তার গরমিলের অভিযোগ তুলেই মামলা করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) নামে এক সংস্থা সহ অন্যরা। শুনানি শেষে রায় রিজার্ভ রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফা ভোটের দিনই রায়দান হল। 
  • Link to this news (বর্তমান)