• হুকিং করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চলে আলো-পাখা, মাঠে শৌচ পড়ুয়াদের
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কলকাতা লাগোয়া সোনারপুর ব্লকের আদিবাসী গ্রাম পাইলেনে খোলা আকাশের নীচে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে খুদে পড়ুয়াদের রান্না চলছে। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও ছাউনি দেওয়া রান্নাঘর মেলেনি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। বাঁশের কাঠামোর উপর তালপাতা দিয়ে খানিকটা ঢেকে রান্না হয় এই সেন্টারে। শুধু তাই নয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খুদে পড়ুয়া, কর্মী ও সহায়িকাদের জন্য শৌচালয় পর্যন্ত নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, হুকিং করে চলে লাইট ও পাখা। কলকাতার এত কাছে আইসিডিএস সেন্টারের এমন দশা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সবমহলে।

    খেয়াদহ এক নম্বর পঞ্চায়েতের পাইলেন গ্রামের ৯৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে এলাকার মধ্যেই চাপা ক্ষোভ রয়েছে। তার কারণ ওই গ্রামের মধ্যে একটিমাত্র সেন্টার চলে। আগে যেখানে চলত সেখান থেকে সেটি স্থানান্তরিত করা হয় পাইলেন আদিবাসী প্রগতি সঙ্ঘ ক্লাবে। ঘর থাকলেও বাকি পরিকাঠামোর ব্যাপক অভাব। ২০২০ সালে উম-পুন ঘূর্ণিঝড়ে রান্না করার অস্থায়ী ছাউনি ভেঙে পড়েছিল। তারপর আর সেটি মেরামত বা নতুন করে তৈরি করা হয়নি বলে অভিযোগ। তাই ক্লাবের একটি কোণে বাঁশ খাটিয়ে তালপাতা দিয়ে অর্ধেক ঢেকে রান্না করতে হয় সহায়িকাকে। শীতকালে পরিস্থিতি একরকম থাকলেও গরম ও বর্ষাকালে সেখানে রান্না করতে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে। প্রায়ই সেই ছাউনি উড়ে চলে যায়। বর্ষায় গ্রামের কারও বাড়িতে গিয়ে রান্না করে বাচ্চাদের খাবার পরিবেশন করা হয়। 

    উন্মুক্ত শৌচকর্ম বন্ধ করতে নানা রকমের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। অথচ সেন্টারে বাথরুম না থাকায় খুদেদের খোলা আকাশের নীচে মাঠে ঘাটে শৌচকর্ম করতে হয়। সহায়িকা ও কর্মীদের ভরসা প্রতিবেশীদের বাড়ি। পানীয় জলের যেসব কল সেখানে লাগানো রয়েছে, সেটিও বহুদিন ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাই পাশের বাড়ি থেকেই জল টেনে এনে রান্না ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করতে হয় বলে জানিয়েছেন ওই সেন্টারে দায়িত্বে থাকা কর্মী সুমনা সর্দার। প্রশাসনের একটা অংশ বলছে, নিজস্ব বিল্ডিং না থাকলে পরিকাঠামো তৈরি করা যায় না। এই সমস্যা নিয়ে খেয়াদহ এক নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোরাচাঁদ নস্কর বলেন, নতুন বিল্ডিং করার জন্য ওই গ্রামে জমি চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। ব্লক প্রশাসনের কাছে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন মিটে গেলে এই কাজের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)