Ayodhya Child Rescue: অযোধ্যায় বাস থেকে ৯৩ মুসলিম শিশুকে উদ্ধার CWC-র, যোগীরাজ্যে শোরগোল
এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
অযোধ্যায় একটি বাস থেকে ৯৩ জন শিশুকে উদ্ধার করল সিডব্লিউসি। এই শিশুদের প্রত্যেকের বয়স ৫ থেকে ৯ বছর। শিশুগুলিকে বিহারের আরারিয়া থেকে অযওধ্যার সাহারানপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মাঝপথে অযোধ্যার দেবকালী মোড়ের কাছে একটি বাস থেকে শিশুগুলিকে উদ্ধার করে শিশুকল্যাণ কমিটি।বাসটিতে শিশুগুলিকে কার্যত পশুদের মতো ঠেসে ঠেসে ভর্তি করা হয়েছিল। এরা সকলেই দরিদ্র পরিবারের। উদ্ধার হওয়া শিশুদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অনাথ বলে জানা গেছে। শিশু কল্যাণ কমিটির তরফে জানানো হয়েছে য়ে, এই শিশুদের বেশিরভাগেরই আধারকার্ড জাল হতে পারে। এর পিছনে বড় কোনও ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে বলে মনে করছে তারা।
চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য সুনীতা যাদব বলেন, এখন যে শিশুদের পাওয়া গেছে তাদের কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। শিশুরা নিজেরাই জানে না তারা কোথা থেকে আসছে। এমনও হচ্ছে যে তারা ভুল ঠিকানা দিচ্ছে। আধার কার্ড চেক করার পরও নিজেদের জেলার নাম বলতে পারছে না শিশুগুলি। এমনকি এই শিশুরা জানতই না যে তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
উদ্ধার হওয়া শিশুরা জানিয়েছে যে, হাফিজ জি চেয়েছিল বলে মা পঠিয়েছে। হাফিজ জি বাড়ি থেকে বেশকিছু শিশুকে নিয়ে আসেন বলে জানা গেছে। তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে সে সম্পর্কে শিশুদের কোনও ধারণা ছিল না বলেই জানিয়েছে তারা। তাদের আধার কার্ডে লেখা ঠিকানাও জাল বলেই মনে করা হচ্ছে কারণ তাদের বলা ঠিকানার সঙ্গে মিলছে না তাদের আধারকার্ডের নম্বর।
যেব্যক্তি শিশুদের বাসে করেনিয়ে যাচ্ছিল সেই ব্যক্তি জানিয়েছে যে শিশুরা সবাই তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। অথচ জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তিকে চেনে না বলেই জানিয়েছে শিশুগুলি।
শিশুকল্যাণ কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন যে, শিশুদের নিয়ে যাওয়া ব্যক্তির বয়ানের সঙ্গে শিশুদের বয়ানের কোনও মিল পাওয়া যায়নি। ফলে এটি একটি বড় কেলেঙ্কারিও হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
শিশু কল্যান কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন যে, দু তরফের জিজ্ঞাসাবাদে স্পষ্ট যে বিহারের আরারিয়া থেকে সাহারানপুরে বেআইনিভাবে শিশুদের আনা হচ্ছিল। এই বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে আমরা শিশুদের হেফাজতে নিয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা ধরা পড়েছে তারা এসব শিশুর অভিভাবকদের কাছ থেকে কোনও ডেলিভারি লেটার পাননি। এদের মধ্যে এমন অনেখ শিশুই আছে যাদের বাবা মা নেই। উদ্ধার হওয়া শিশু গুলিতে আপাতত একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।